আজ আরেকটা বাংলাওয়াশ?

প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ঢাকা পর্বেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন হোয়াইওয়াশের মুখে। আজ হারলেই ধবলধোলাই। জিতলে মান বাঁচবে; কপালে জুটবে সান্ত্বনা। বাংলাদেশ অবশ্য এইটুকুও দিতে চায় না। বরং আজ শেষ ওয়ানডেতে আরো ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টাইগাররা।

শিশির এবং কুয়াশার প্রভাব ঠেকাতে আগের দুটো ওয়ানডে হয়েছে বেলা সাড়ে ১১টায়। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেও ম্যাচ শুরুর সময়টা ওই একই। এই ম্যাচেও জয় ব্যতিত ভিন্ন কিছু চাওয়ার নেই স্বাগতিক শিবিরের। কাল অনুশীলনে খেলোয়াড়দের শারীরিক অভিব্যক্তিতেই বোঝা গেছে তা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কাল ম্যাচের আগের দিন ফেরার অঙ্গীকার করেছে দলটি। যদিও তেমনকিছু হওয়া মানেই চূড়ান্ত নাটকীয়তা। অভিজ্ঞতা, শক্তি-সামর্থ্য, কন্ডিশন, সাম্প্রতিক মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল- সবকিছুতেই টাইগারদের চেয়ে যোজন-যোজন পিছিয়ে আছে ক্যারিবীয়রা।

এরচেয়েও বড় কথা, প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাটুকু করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে শেষ ম্যাচে জয়ের আশা রাখাটা অমূলক। বাংলাদেশ না জিতলে সেটাই বরং হবে বিস্ময়কর। ক্যারিবীয়দের টানা দ্বিতীয়বার বাংলাওয়াশ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বাগতিকরা। এতে আরেকটা লাভ হচ্ছে, ওয়ানডে লিগের জন্য ঝুলিতে আরো ১০ পয়েন্ট যোগ হবে।

দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছে বোলিং বিভাগ। তবু কিছুটা খচখচানি আছে পারফরম্যান্স নিয়ে। নতুন বলে আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারতো টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে উন্ডিজকে এক শ’র মধ্যে অলআউট করার সুযোগও এসেছিল। কিন্তু শেষ জুটিতে ৬০ রান করে দেড় শ’র কাছাকাছি রান করে সফরকারীরা।

উন্নতি দরকার ব্যাটিং বিভাগেও। তামিম ছাড়া অন্যদের ব্যাটিং ঠিক প্রত্যাশিত হয়নি। তাই আজকের ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য দুই বিভাগেই উন্নতির উপলক্ষ্য। ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক তামিম ইকবালও তেমনটা বলে গেলেন, ‘আমি নিশ্চিত, উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। পরিপূর্ণ ম্যাচ খুব কম সময়ই খেলতে পারা যায়। আমরা তিন বিভাগেই আরও উন্নতি করতে পারি।’

ব্যাটিংয়ে উন্নতির কাজটা সহজ। কারণ আজকের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হওয়ার কথা। যেটা হয়নি প্রথম দুই ওয়ানডেতে। মিরপুরে দুটো ম্যাচেই মন্থর উইকেটে খেলতে হয়েছে দুই দলকে। আজকের ম্যাচে অবশ্য দুই দলই স্পোর্টিং উইকেটের আশায় আছে।

সম্ভাব্য একাদশ:

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: কেজর্ন ওটলি, সুনিল অ্যামব্রিস, জসুয়া দা সিলভা (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে ম্যাককার্থি, জেসন মোহাম্মদ (অধিনায়ক), কাইল মেয়ারস, রভম্যান পাওয়েল, এনক্রুমাহ, রেম্যান রেফিয়ার, আলজারি জোসেফ, আকিল হোসেন।