সূচি নিয়ে আলোচনা, তবুও বন্ধ হচ্ছে না আইপিএল!

করোনা শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে গত ৯ মে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলের ১৪তম আসর। প্রথমদিকটা ভালোভাবে কেটে গেলেও মাঝপথে এসে কোটি টাকার টুর্নামেন্টটি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড়। এছাড়াও চেন্নাই সুপার কিংসের তিনজন সাপোর্ট স্টাফ পজিটিভ হয়েছেন।

এমন কঠিন পরিস্থিতে আইপিএল বন্ধের ডাক আসছে চারদিক থেকে। আইপিএল বন্ধের দাবিতে দিল্লির উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেনন আইনজীবী করণ সিংহ ঠুকরাল এবং সমাজসেবক ইন্দর মোহন সিংহ। এই দুইজনের দাবি, আইপিএল বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিক আদালত।

এমন চরম দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে সরকার আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়ায় ক্ষিপ্ত ঠুকরাল এবং ইন্দর। তাদের এই অভিযোগ ভারত সরকার, বোর্ড ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়া, বিসিসিআই, আইপিএল পরিচালন পর্ষদ, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

তবে ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি বন্ধ করতে চান না আয়োজকরা। বরং ঝুঁকি এড়াতে আগামী ম্যাচগুলো একটি শহরে আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। এই শহর হতে যাচ্ছে মুম্বাই।

ছয়টি শহরকে কেন্দ্র করে এবারের আইপিএল আয়োজনের ছক তৈরি করেছিল আয়োজকরা। ইতিমধ্যে চেন্নাই এবং মুম্বাই পর্ব শেষ হয়েছে। বর্তমানে খেলা চলছে দিল্লি এবং আহমেদাবাদে। বাকি আছে কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালুরু।

তবে আইপিএলে হঠাৎ করোনা হানা দেওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি থেকে সরে আসছেন আয়োজকরা। মূলত করোনার প্রকোপ তুলনামূল কম থাকায় মুম্বাইকে ঘিরেই আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো শেষ করতে চাইছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইয়ে মাঠ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। শহরটিতে আছে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ভেন্যু। এগুলো হলো ওয়াংখেড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ব্রাবোর্ন এবং ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম। চলমান মহামারিতে মুম্বাই হোটেলগুলো থেকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা পাওয়া যাবে কিনা সেটাই এখন ভেবে দেখছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।

আইপিএল মুম্বাইয়ে সরে গেলে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি সম্প্রচারকারী চ্যানেল কতটা মেনে নেবে সেটাও দেখার বিষয়।

গতকাল আইপিএলে করোনা হানা দেওয়ায় আপাতত খেলা বন্ধ আছে। যা আগামী ৭ মের আগে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমতাবস্থায় পিছিয়ে যাচ্ছে আইপিএলের ফাইনাল।