জোরালো হচ্ছে ভারত থেকে বিশ্বকাপ সরানোর দাবি

এ বছরের শেষ প্রান্তিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৬ দলের আসরটি আয়োজনের আগে মহামারি পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। কিন্তু আসরের ২৩ ম্যাচ হতে না হতেই তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।

ভারতের মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশটি থেকে আসন্ন বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে। আয়োজক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) বিষয়টি নিয়ে পড়েছে গেছে দুশ্চিন্তার মধ্যে।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কমে আসবে। কিন্তু এ বছরের শেষ দিকে তৃতীয় ঢেউয়ের একটি আশঙ্কা আছে। ফলে তখন বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে না। অন্য দিকে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসিও এর চেয়ে বেশি অপেক্ষা করবে না।

আইপিএলে কোভিডের ধাক্কা লাগার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক দিন আগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন দেশটিতে তিন লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃতের সংখ্যাও প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি। এই অবস্থায় আইপিএল চালিয়ে নেওয়ায় দেশজুড়ে চলছিলো সমালোচনা। দেশের বাইরে থেকেও সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলো আইপিএল।

খসড়া প্রস্তাবনায় নয়টি ভিন্ন শহরে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু এতোগুলো শহরে ১৬টি দলকে আতিথেয়তা দেওয়া, তাদের জন্য বায়ো-বাবল তৈরি করা এবং তা দেখাশোনা করা খুবই ব্যয়বহুল ও কঠিন বিষয়। বিসিসিআই মনে করে এটি লাভজনক হবে না। আইপিএলে প্রমাণ হয়ে গেছে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক ভেন্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিকল্প চিন্তাও করে রেখেছে বিসিসিআই। কিন্তু বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর এই চিন্তায় একমত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে এক ভেন্যুর বিশ্বকাপ হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এটি পরিষ্কার যে, এ বছরের শেষে ভারতে বিশ্বকাপ নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের চিন্তায় আছে কেবল আরব আমিরাত। অন্য দুই একটি দেশের কথাও শোনা গিয়েছিলো, কিন্তু তাতে আরব আমিরাতের মতো সুযোগ-সুবিধা মিলবে না বলে সে চিন্তা থেকে সরে এসেছে আইসিসি ও বিসিসিআই।