দুপুরে শুরু জোড়া চ্যালেঞ্জের সিরিজ

সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ মাস পর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। কিন্তু কুড়ি ওভারের ‍টুর্নামেন্ট নয়, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভাবনা আড়াই বছর পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘিরে। কারণ ওই টুর্নামেন্টে সরাসরি মূলপর্বে অংশ নেওয়া যে বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শ্রীলঙ্কা সিরিজ।

আজ (২৩ মে) দুপুর একটায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপের পথে এগিয়ে যেতে এই সিরিজ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক টাইগাররা। এই সিরিজ বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। যা মূলত বাছাইপর্বের কেতাবি নাম। এই সিরিজে জোড়া চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে।

প্রথম চ্যালেঞ্জ- সিরিজ জয়। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ- বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করার প্রক্রিয়ায় আরেকটু এগোনো। দুটো কাজই কঠিন। এর কারণ গেল জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর থেকেই বাজে সময় কাটছে বাংলাদেশ দলের। তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ ধরে জয়হীন টাইগাররা। তাই আজকের ম্যাচে জয়টা ভীষণ দরকার বাংলাদেশের।

সুপার লিগে ছয় ম্যাচের প্রথম তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নাকানি-চুবানি। আশার কথা হচ্ছে, লঙ্কানদের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচ জিতলেই সুপার লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আপাতত একটা জয় দরকার টাইগারদের। ড্রেসিংরুম চাঙা করতে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে আজ জয়ের বিকল্প ভাবছে না বাংলাদেশ।

এক্ষেত্রে টাইগারদের আশা দেখাতে পারে শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ দল। করোনভাইরাস ঝুঁকির কারণে দলটির বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বাংলাদেশে আসেনি। যা টাইগারদের সুযোগ করে দিয়েছে। সিরিজেও বাংলাদেশ ফেভারিট, আন্ডারডগ লঙ্কানরা। যদিও এমনটা মানতে নারাজ টাইগারদের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।

শনিবার ম্যাচ পূর্ব সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, মানছি আমরা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে গত দুই মাসের ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। অতীত নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নেই। কালকের (আজকের) ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য মতো খেললে আমাদের জয়ের সুযোগ আছে। ম্যাচের ফল আমাদের হাতে নেই। কিন্তু প্রস্তুতি, ভাবনা এবং মানসিকতা নিজেদের কাছেই।’

জয় ছাড়াও বাংলাদেশ কোচের ভাবনায় আছে বিশ্বকাপ দলগঠন। ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমরা জানি এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজ। এখানে আমাদের (জেতার) সুযোগ আছে। ভবিষ্যতের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে। তাই দুটো বিষয়ের সমন্বয় করা জরুরি। কে জানে দুই বছর পর সিনিয়র কয়েকজনকে পাওয়া যাবে না!’

‘তাই তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ে তুলতে হবে। যাতে প্রয়োজনের সময় আমরা তাদের উপযুক্ত জায়গায় ব্যবহার করত পারি।’

শ্রীলঙ্কা অবশ্য এই সিরিজেই বিশ্বকাপের দলগঠন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। কচিকাঁচার দল নিয়ে সফরে এসেছে লঙ্কানর। এক্ষেত্রে তাদের ঝুঁকি বেশি। কারণ সুপার লিগে তিন ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো জয় পায়নি শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডেতে মাঠে বাজে সময় পার করা দলটার ভেতরের আবহও ভালো নয়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ড কর্তাদের চুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে লঙ্কান শিবির।