মোহামেডানের অধিনায়ক শুভাগত

মাঠে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য গতকাল (১২ জুন) সাকিব আল হাসানকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। এই অলরাউন্ডারের অনুপিস্থিতিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়কত্ব করছেন শুভাগত হোম চৌধুরী।

শুভাগত হোম চৌধুরী

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডে আজ (১৩ জুন) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিকেএসপিএতে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে টস করেছেন শুভাগত। টসে জিততে পারেননি জাতীয় দলের বাইরে থাকা ময়মনসিংহের এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

গত ১১ জুনের কথা। ডিপিএলের সপ্তম রাউন্ডে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। ম্যাচের এক পর্যায়ে লেগ বিফোরের একটি আবেদন আম্পায়ার নাকচ করে দিলে লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন সাকিব।

এর খানিক বাদে বৃষ্টির কারণে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করায় স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন সাকিব। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। মাঠের বাইরে গিয়ে আবাহনীর কোচ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিনিয়র পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মোহামেডানের অধিনায়ক।

স্বাভাবিকভাবেই গত পরশু থেকে সাকিবের স্টাম্প ভাঙার ইস্যু দেশীয় গণমাধ্যমের মূল আলোচ্য বিষয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও সাকিবকে নিয়ে ফলাও করে খবর ছেপেছে।

নিজের এমন কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত মেজাজ হারানো কারণে। যারা ম্যাচটি দেখছিলেন, আমি তাদের সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশেষ করে ঘরে বসে যারা ম্যাচটি উপভোগ করছিলেন তাদের কাছেও ক্ষমা চাইছি। এমন আচরণ আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

এমন আচরণ আর কোনোদিন করবেন না জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই মনুষ্য ত্রুটির জন্য সব দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়াল এবং আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি, আমার দ্বারা এমন আচরণ আর কোনোদিন হবে না। সবার জন্য ভালোবাসা।’ যোগ করেন সাকিব।