সাকিব-মুস্তাফিজের ‘হতাশা’র রাত

লড়াইটা কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালসের। স্বপ্ন বাঁচানোর লড়াই; প্লে-পর্বে ওঠার লড়াই। সমীকরণ কলকাতার জন্য যতটা সহজ ততটাই কঠিন ছিল রাজস্থানের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই ম্যাচের প্রেক্ষাপটটা ব্যক্তিগত দ্বৈরথের পর্যাযের।

আইপিএলে সাকিব ও মুস্তাফিজ, ফাইল ছবি

বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার যে মুখোমুখি। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান দুজনেরই রাতটা কেটেছে হতাশায়। ভ্রু কুঁচকানোর কথা। রাজস্থান রয়্যালসের আইপিএল শেষ হয়ে গেছে এ কারণে না হয় মুস্তাফিজের মন খারাপ। কিন্তু সাকিবের জন্য হতাশা কেন?

বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের হতাশাটা ব্যক্তিগত। বল হাতে কলকাতাকে দারুণ সূচনা এনে দিলেও দ্বিতীয়বার তাকে সুযোগ দেননি অধিনায়ক ইয়ন মরগান। রাজস্থানের ইনিংসে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাকিব বোল্ড করেন জাসাভি জাসওয়ালকে। শুরুতেই চাপে পড়ে রাজস্থান।

প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সাকিবরা

এমন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া সাকিবকে আর ডাকা প্রয়োজন মনে করেননি ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা মরগান। না হলে দলের জয়ে আরো অবদান রাখতে পারতেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবকে দ্বিতীয়বার বল হাতে তুলে না দেওয়ায় বাংলাদেশে এখন জাতীয় শত্রুতে পরিণত হয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক!

বোলিংয়ে বঞ্চিত হয়েছেন সাকিব। টানা দুই ম্যাচ খেলে ধরতে পারেননি ব্যাট। আসলে তাকে খেলানো হচ্ছে শুধু বোলার ভূমিকায়। তবে মোস্তাফিজকে ঠিকই অলরাউন্ডার ভূমিকায় দেখ গেল কাল। শারজাহতে ব্যাট-বল দুটোতেই ব্যর্থ হলেন ফিজ। তিন বল খরচ করে রান করতে পারেননি তিনি।

বরং বল হাতে রান দেওয়ায় এদিনও বেশ উদার ছিলেন কাটার মাস্টার। চার ওভারে রান দিয়েছেন ৩১। থাকলেন উইকেটশূন্য। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে এক রান বেশি দিয়ে উইকেট পেয়েছিলেন মুস্তফিজ। চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে ৫১ রান দিয়ে পাননি উইকেট।

সবমিলিয়ে আইপিএলের শেষটা বাজেভাবে কাটল মোস্তাফিজের। তার দল বাঁচা-মরার লড়াইয়ে হেরেছে ৮৬ রানের বিরাট ব্যবধানে। আগে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে কলকাতা। জবাবে ম্যাচের ২৩ বল বাকি থাকতে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় রাজস্থান।

সাকিবের এনে দেওয়া উড়ন্ত শুরু পর ৩.১ ওভারে ২১ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কলকাতার শিভাম মাভি। ১৮ রান খরচায় নিউজিল্যান্ড পেসার লোকি ফার্গুসন নিয়েছেন তিন উইকেট। সুনিল নারাইন এক ওভার মেডেন দিয়েও রান দিয়েছেন ৩০। আর বরুণ চক্রবর্তী চার ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন এক উইকেট।