আগামী রোববার থেকে ওমানের মাস্কটে শুরু হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আট দলকে নিয়ে যাত্রা শুরু করবে প্রথম রাউন্ড। আসলে এটা বাছাইপর্ব। এখান থেকে চার দল টিকিট পাবে মূলপর্বের। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে ব্যাট-বলের আসল লড়াই। লড়াই শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু রেকর্ড।

t 20 world cup batting records

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ সালে ক্যান্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রান করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ব্যাটিং গড় ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তার ব্যাটিং গড় ৮৬.৩৩। কোহলির পেছনে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মাইক হাসি (৫৪.৬২)।

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ড্যারেন স্যামির। ২৫ ম্যাচে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের স্ট্রাইক রেট ১৬৪.১২। তার খুব কাছেই আছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৬০.০০)।

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরি আছে ক্রিস গেইলের। এ ছাড়া একটি করে শতক আছে জয়াবর্ধনে, ম্যাককালাম, অ্যালেক্স হেলস, তামিম ইকবাল, সুরেশ রায়না, আহমেদ শেহজাদের।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক বিরাট কোহলি ও ক্রিস গেইল। এ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে নয়টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের অধিনায়ক। ২৮ ম্যাচে সমান অর্ধশক গেইলেরও।

বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরি গেইলের। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৮ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছিলেন ক্যারিবীয় দৈত্য। গেইল ভেঙেছেন নিজের রেকর্ড। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড ভারতের যুবরাজ সিংহের। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ওই ম্যাচের ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসকে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকান যুবরাজ। তার পেছনে আছেন নেদারল্যান্ডসের স্টিফেন মাইবার্গ। ২০১৪ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ডাচ তারকা।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ডাক মারার রেকর্ড পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ও শ্রীলঙ্কার তিলেকরাত্নে দিলশানের। দুজনই সমান পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আফ্রিদি ম্যাচ খেলেছেন ৩২টি। দুই ম্যাচ বেশি খেলেন দিলশান।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান মাহেলা জয়াবর্ধনের। ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন শ্রীলঙ্কা কিংবদন্তি। আর কেউ বিশ্বকাপে হাজার রান করতে পারেননি। দ্বিতীয়তে থাকা গেইল ২৮ ম্যাচের ২৬ ইনিংসে ৯২০ রান করেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৮টি ম্যাচে ৬০টি ছক্কার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ক্রিস গেইলের দখলে। ৩৩টি ছক্কা মেরে দুইয়ে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১১টি চার মেরেছেন জয়াবর্ধনে। বিশ্বমঞ্চে এক শ বাউন্ডারি আছে আর একজনের। তিনিও শ্রীলঙ্কান। তিলেকরাত্নে দিলশান ৩৫ ম্যাচে ১০১টি চার হাঁকিয়েছেন।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড গেইলের। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। গেইল ভেঙেছেন নিজের পুরনো রেকর্ড। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ চারের রেকর্ড হার্শেল গিবসের। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪টি চার মেরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা। পরের আসরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩টি চার মারেন নিউজিল্যান্ডের অ্যারন রেডমন্ড।

এক ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে সর্বোচ্চ রান গেইলের। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেবল চার-ছক্কা থেকেই ৮৮ রান তোলেন গেইল। ২০১২ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে বাউন্ডারি থেকে ৮৬ রান করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জুটি মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ১৬৬ রান তোলেন দুই লঙ্কান। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫২ রান করেন ইংলিশ দুই ব্যাটসমান অ্যালেক্স হেলস ও ইয়ন মরগান।

এক আসরে সর্বোচ্চ চারটি করে হাফসেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেডেন ও ভারতের বিরাট কোহলি। এ ছাড়া এক বিশ্বকাপে তিনটি করে হাফসেঞ্চুরি আছে আট জনের।

এক আসরে সর্বোচ্চ রান কোহলির। ২০১৪ বিশ্বকাপে ছয় ইনিংসে ৩১৯ রান করেন ভারতের দলপতি। তিনি ভাঙেন দিলশানের রেকর্ড। ২০০৯ বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে ৩১৭ রান করেছিলেন লঙ্কান অলরাউন্ডার।

২০১২ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ১৬টি ছক্কা মারেন গেইল। এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। ওই বিশ্বকাপেই ১৫টি ছক্কা হাঁকান তার সতীর্থ মারলন স্যামুয়েলস।

এক আসরে সবচেয়ে বেশি চার দিলশানের। ২০০৯ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ৪৬টি চার মারেন এই লঙ্কান। তিনি ভাঙেন আগের বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ৩২ চার মারা অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেডেনের রেকর্ড।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.