টেস্ট শুরুর আগে দুশ্চিন্তায় বাবর আজম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আসছে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটি হেরে গেলেও দলের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। বাংলাদেশ সফরে এসে কঠিন পিচে খেলেও প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নিয়েছে তারা।

বাবর আজম

আজ চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্টে নামার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, দলে একজন ব্যাটিং কোচের প্রয়োজন ছিল। এ ক্ষেত্রে তারা শূন্যতা অনুভব করছেন। তবে ব্যাটিং কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত পুরোপুরিভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওপর নির্ভর করে।

গত সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই পাকিস্তানের কোচিং সেটআপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন মিসবাহ-উল-হক এবং ওয়াকার ইউনুস। তাদের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে হতবাক পিসিবি অজি ব্যাটিং কিংবদন্তি ম্যাথু হেইডেনকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তবে তা ছিল কেবলই বিশ্বকাপ সময়কালের জন্য।

ম্যাথু হেইডেনের সাথে বাবর ও রিজওয়ান

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর হেইডেন নিজ দেশে চলে যান। তবে এ স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দলের সাথে বেশ সখ্য গড়ে তুলেছিলেন। দলকে চাঙ্গা করে তুলেছিলেন। ফলে পাকিস্তান টিম বিশ্বকাপে দারুণ ব্যাটিং করে সবার নজর কেড়েছিল।

দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বাবর আজম বলেছেন, সিরিজে ভালো পারফরম্যান্স আশা করছি। ব্যাটিং লাইনআপে সিনিয়র খেলোয়াড়রা আছেন। তারা স্পিনারদের ভালো খেলে। আর টেস্ট স্কোয়াডের সদস্যরা ঘরোয়া লিগে খেলে এসেছেন। আশা করি, আমরা এ থেকে উপকৃত হব। নিজেদের জয়ের গতি ধরে রাখার জন্য টেস্ট সিরিজ জয়ও পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন পাক অধিনায়ক।

বাংলাদেশের দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতেও বাংলাদেশ একটি বিপজ্জনক দল। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় তাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো উপায় নেই।

টাইগারদের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার নিজের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ার ব্যাপারে বলেন, সব সিরিজেই তার ভালো পারফরম্যান্স করা জরুরি নয়। দলের অন্য সদস্যদেরও এগিয়ে যেতে হবে। বরং এটাই ভালো হয়েছে যে, অন্য ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়েছে এবং রান করেছে।