আবু ধাবি টি-টেন লিগে তাণ্ডব চালিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার মঈন আলি। হাই স্কোরিং ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ১০ ওভারের খেলায় ১৪৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমেছিল তার দল। পাঁচ বল হাতে রেখে ১০টি উইকেটের সবগুলোই অক্ষুণ্ন রেখে জয় ছিনিয়ে আনেন মঈন আলি ও কেনার লুইস।
২৩ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি
শনিবার আবু ধাবি টি-টেন লিগে খেলতে নেমেছিল টিম আবু ধাবি ও নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টিম আবু ধাবি আক্ষরিক অর্থেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটায়। নির্ধারিত ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেট ১৪৫ রান। দলটির হয়ে কলিন ইনগ্রাম সমান ৫ চার ও ৫ ছয়ে ২৫ বলে ৬১ রান করেন। পল স্টার্লিং করেন ১১ বলে ২৮ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ২টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। ১১ বলে ২৭ রান করেন অধিনায়ক লিয়াম লিভিংস্টোন। ২টি চার ও ২টি ছয় হাকান তিনি। ইমরান তাহির ২৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়ারিয়র্স ৯.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৬ রান তুলে নেয়। দুই ওপেনারই হাফ-সেঞ্চুরি করেন। মঈন আলি মাত্র ১৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ৯ ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন। অপর ওপেনার কেনার লুইসও অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৬৫ রান করে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।
মঈন আলি ও কেনার লুইস
ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে অবধারিতভবেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মঈন আলি। পাশাপাশি আরো কিছু রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি। শনিবারের এই ইনিংসে চলতি টুর্নামেন্টে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন মইন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক এখন তিনি। লুইসকে সঙ্গে নিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ গড়েন এই ইংলিশ ব্যাটার। এক ইনিংসে সবথেকে বেশি ছক্কার রেকর্ডও তার দখলে।
এই নিয়ে চলতি আবু ধাবি টি-১০ লিগে পরপর ২টি ম্যাচ পরাজিত হলো টিম আবু ধাবি। সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য এক নম্বরেই আছে দলটি। অন্যদিকে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সের সাত ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয়।