পাঁচ বছরে ৫৬ জনের অভিষেক

মাশরাফি বিন মর্তুজা এসেছিলেন সবার আগে। পরের প্রজন্মে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা যোগ দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেসের সঙ্গে। লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিয়েছেন তারা। পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত এই সিনিয়রদের সময় পেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে এসেছেন সবাই।

মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

তাদের পর ধারাবাহিকভাবে দেশের হয়ে খেলার মতো ক্রিকেটার এসেছে খুবই কম। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আসলেও তা ধরে রাখতে পারেননি ক্রিকেটাররা। বাজে ফর্মের কারছে বাদ পড়েছেন কয়েক ম্যাচ খেলেই। নির্বাচকরাও বারবার নতুন মুখের সন্ধানে ছিলেন। কারণ দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না।

এ অবস্থায় গত ৫ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে ৫৬ জনের অভিষেক হয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ জুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার আমলে ২০ জন পেয়েছেন টেস্ট ক্যাপ, ওয়ানডে ক্যাপ ১৮ জন, টি-২০ ক্যাপ ১৮ জন।

আগামী ৪ ডিসেম্বর চলতি বছরের শেষ ম্যাচটা খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও অভিষেক হতে পারে মাহমুদুল হাসান জয় কিংবা নাঈম শেখের।

টেস্টে অভিষেক হওয়া ২০ জনের মধ্যে ৬ জন ১০টি টেস্টও খেলতে পারেননি। ২০১৭ সালে অভিষেক হওয়া পেসার শুভাশীষ রায় ৪ টেস্ট খেলে বাদ পড়েছেন। ২০১৮ সালে অভিষিক্ত কামরুল ইসলাম রাব্বি ৭ টেস্ট খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ রেকর্ডের পরও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মাত্র ৩টি টেস্ট খেলেছেন ২০১৭ সালে অভিষেকের পর।

২ টেস্ট খেলে বাদ পড়েছেন আরিফুল হক। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম, নাজমুল অপুর ক্যারিয়ারে জুটেছে মাত্র একটি টেস্ট। সাব্বির রহমান ১১টি, মোহাম্মদ মিঠুন ১০ টেস্ট খেলে বাদ পড়েছেন। গত চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়েছে ইয়াসির আলী রাব্বির।

ওয়ানডেতে ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন ১০টি করে ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৭ সালে শুভাশীষ রায়, ২০১৮ সালে আরিফুল হকের অভিষেকটাই ওয়ানডেতে তাদের শেষ ম্যাচ হয়ে আছে। লেগ স্পিনার তানবির হায়দার ২ ওয়ানডে খেলেই বাদ পড়েছেন। আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহী ও ফজলে রাব্বির ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছে। নাজমুল অপু ৫, সানজামুল ৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ ম্যাচ খেলে বাদ পড়েছেন।

টি-২০ তে ১০ ম্যাচ খেলার আগেই বাদ পড়েছেন চার জন। তাইজুল ইসলাম ২, রাহী ৩, জাকির হাসান ১ ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েন। আরিফুল হক ৯টি ম্যাচ খেলেছেন বটে, কিন্তু মাত্র ৫৯ রান করে বাদ পড়েছেন।

টেস্টে অভিষিক্তরা (২২ জুন, ২০১৬’র পর)
কামরুল ইসলাম রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, শুভাশীষ রায়, তাসকিন আহমেদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ মিঠুন, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, সাদমান ইসলাম, এবাদত হোসেন, সাইফ হাসান, শরীফুল ইসলাম ও ইয়াসির আলী রাব্বি।

ওয়ানডে অভিষিক্তরা (২২ জুন, ২০১৬’র পর)
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, শুভাশীষ রায়, তানভীর হায়দার, মেহেদী হাসান মিরাজ, সানজামুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম অপু, ফজলে রাব্বি, আরিফুল হক, আবু জায়েদ রাহী, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী হাসান, শরীফুল ইসলাম।

টি-২০ অভিষিক্তরা (২২ জুন, ২০১৬’র পর)
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু, জাকির হাসান, আবু জায়েদ রাহী, শেখ মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম শেখ, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, শামীম হোসেন, সাইফ হাসান, শহীদুল ইসলাম।