করোনাকালে প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজ হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা, বায়ো-বাবল (জৈব সুরক্ষা বলয়) তৈরি করে। দর্শকহীন ক্রিকেটও হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ব্যতিক্রম ছিল না বাংলাদেশেও। তবে করোনার আতঙ্ক ভুলে এবার ঘরের মাঠে বাবলহীন আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট, ফাইল ছবি
করোনাকালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ ছিল ২০২১ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। পরের সব সিরিজেই বায়ো-বাবল, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম চালু ছিল। গত কিছুদিন সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতির বড়সড় উন্নতি হয়েছে। আক্রান্ত, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। করোনার টিকা নিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। জীবন-যাপনে ফিরেছে স্বাভাবিক গতি।
এবার ক্রিকেটেও বায়ো-বাবলের ঝক্কি উঠে যাচ্ছে। দুই টেস্ট খেলতে আগামী ৮ মে বাংলাদেশ সফরে আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এই সিরিজে গ্যালারিতে থাকবে দর্শক, থাকবে না বায়ো-বাবল, কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা।
বিসিবি
তারপরও সিরিজে দুই দলের সবাইকে দুবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। এর বাইরে উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা করা হবে। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হোসেন বলেন, ‘এবার আর জৈব সুরক্ষা বলয় থাকছে না। কোনো কোভিড প্রোটোকলও নেই। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়া থাকলে পৃথিবীর কোনো দেশেই এখন ভ্রমণে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দলের কোচিং স্টাফের বিদেশি সদস্য এমনকি শ্রীলঙ্কা দলেরও কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। তবে দুই দলের সদস্যদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে এবং জনসমাগম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শও থাকবে তাদের প্রতি।’
উভয় দলের জন্য দুবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছে বিসিবি। মনজুর হোসেন বলেন, ‘দুই দল চট্টগ্রাম যাওয়ার পর তাদের কোভিড টেস্ট হবে। সিরিজ চলাকালে যদি কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়, জরুরি ভিত্তিতে তার টেস্ট করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রথম টেস্ট খেলে দুই দল যখন ঢাকা ফিরবে, তখনও আরেক দফা সবার টেস্ট হবে।’