চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসটা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস একাই টেনে গেছেন বললে ভুল হবে না। একপ্রান্ত আগলে ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের জন্য মূল্যবান ৬৯ রান যোগ করেছেন। তিন জনের সঙ্গে তার জুটি লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসটা লম্বা করেছে ৩৬.৩ ওভার। শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ৩৯৭ রানে। বাংলাদেশের নাঈম হাসান নিয়েছেন ৬ উইকেট।
ম্যাথুসকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে এসেছেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রাও
কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরম এক আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১ রানের জন্য মিস করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। নাঈমের শিকার হয়েছেন তিনি।
টেস্টে ১৯৯ রানের খড়গে পড়া ১৪তম ব্যাটসম্যান ম্যাথুস। তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২০০ রানের। ১৯৯ রানে আটকে পড়া তৃতীয় লঙ্কান ব্যাটসম্যান তিনি। এর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে গলে ১৯৯ রান করেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। তবে অপরাজিত ছিলেন সাবেক এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৯৯৭ সালে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন মাতারা হারিকেন খ্যাত সনাথ জয়াসুরিয়া।
নাঈম হাসান নিয়েছেন ৬ উইকেট
১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের মুদাসসর নজরের মাধ্যমে টেস্টে ১৯৯ রানের আক্ষেপের ক্লাবটার শুরু হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে ভারতের আজহার উদ্দিন, ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এলিয়ট, একই বছরে শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া, ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৯৯ রানের আউট হন।
এরপর ২০০৬ সালে পাকিস্তানের ইউনুস খান, ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের ইয়ান বেল, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা, ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ, ২০১৬ সালে ভারতের কেএল রাহুল, ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার ও ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস ১৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন।