অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে টেস্ট দলে পেসারদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন মুমিনুল হক। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনেও সেটা তুলে ধরেছেন। মিরপুর স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশের একাদশে কতজন পেসার থাকতে পারে জানতে চাইলে মুমিনুল বলে বসেন, ‘আমি জানি না আমি অধিনায়ক হওয়ার পর আপনারা এক পেসার পেয়েছিলেন কি না। মনে হয় না এক পেস বোলার খেলবে। এমনও হতে পারে পেসার থাকবে ৩ জন।’
মুমিনুল হক
তবে কাল একাদশে ২ পেসার থাকতেই পারেন। খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেনের মাঝেই ভরসা রাখছে বাংলাদেশ।
তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ইনজুরিতে পড়ায় বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। এমন কঠিন পরিস্থিতিকে সহজভাবেই নিচ্ছেন মুমিনুল। তবে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় টেস্টের জন্য এক ঝাঁক পেসার চান তিনি। যাতে দলের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। টেস্টে পেসারদের লাইনটা বড় দেখতে চাইছেন তিনি।
রাহি, খালেদ ও এবাদত
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি কোনো একটা জিনিস শুরু করলে মাঝেমাঝে এমন বাধাবিপত্তি আসতে পারে। তাসকিন যতদিন খেলেছে খুব ভালো বল করেছে। সাথে শরিফুলও ভালো অবদান রেখেছে টেস্ট দলে। ওদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ।
‘সেই সাথে আমার জন্যও একটা সুযোগ ওদের দেখে নেওয়ার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমি চাই আমার এক ঝাঁক পেসার থাকুক, স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হোক। তাই এটা আমার জন্যও সুযোগ। ভবিষ্যতে টেস্ট দলের জন্য তারা কী করতে পারবে, কীভাবে উন্নতি করতে পারবে- এসব আমিও দেখে নিতে পারব।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করার প্রতিদান হিসেবে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলানো হয়েছে খালেদ আহমেদকে। পেস বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া খালেদ সাগরিকায় পুরোপুরি ব্যর্থ। ভিন্ন রকম কন্ডিশনে বাজে বোলিং করেছেন তিনি। যেখানে এবাদতকে বসিয়ে তাকে খেলানোর পরিকল্পনা পুরোপুরি বুমেরাং হয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
দ্বিতীয় টেস্টে এবাদতকে আবারও দেখার ইচ্ছা মুমিনুলের। যিনি কিনা বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের রূপকার ছিলেন।
মুমিনুল হক বলেন, ‘আমি সবসময় আশাবাদী থাকতে পছন্দ করি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় টেস্টে অনেক ভালো বল করেছিল খালেদ। সে অনুযায়ী হয়ত ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রামে। বেশিরভাগ সময় আমরা ঢাকায় প্র্যাকটিস করি। আমার কাছে মন হয় এই কন্ডিশন ও জানে। আশাকরি এই টেস্টে ও ভালোভাবে ব্যাক করবে। সেই সাথে এবাদতের জন্যও এটা ভালো সুযোগ।