চট্টগ্রামের মতো মিরপুর টেস্টেও দাপট দেখিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। অথচ পেসারদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে টানা দুই টেস্ট খেলা খালেদ আহমেদ উইকেটের দেখা পাননি। টানা তিন ইনিংসে ডানহাতি এ পেসার ব্যর্থ দলকে উইকেট এনে দিতে। চট্টগ্রামে সাইড বেঞ্চে বসে থাকা পেসার এবাদত হোসেন অবশ্য মিরপুর টেস্টে ২ উইকেট নিয়েছেন।
খালেদ
খালেদের ব্যর্থতা ফুটিয়ে তুলছে টেস্ট দলের নিয়মিত দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের অভাব। দুজনই ইনজুরির কারণে এখন দলের বাইরে আছেন।
পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড তাসকিন-শরিফুলের অভাববোধ করছেন। বুধবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে শরিফুলের আঙুলে চিড় ধরেছে। তাসকিনের না থাকা অনেক বড় মিস।’
এবাদত-খালেদের জন্য এসব ম্যাচ শেখার ক্ষেত্রই মনে করেন ডোনাল্ড। এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘এবাদত ও খালেদের জন্য এটা শেখার আরেকটা সুযোগ। আমি চাই, সবাই যেন ওদের শেখার প্রক্রিয়াটায় চোখ রাখে ও ধৈর্যশীল থাকে। খালেদ সবসময়ই শিখছে।’
মিরপুরে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৫ ওভারে ৬২ রান দিলেও উইকেট পাননি খালেদ। করেছেন নির্বিষ বোলিং। ডানহাতি এই পেসারের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বোলিং কোচ বলেন, ‘খালেদ আজ ঠিক মতো বোলিং করতে পারেনি। তবে কাল খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। সকালে আমাদের কিছু উইকেট দরকার। পিচও প্রতিদিন সকালে কিছুটা সহায়তা দিচ্ছে।’
দিনভর বাজে বোলিং করেছেন খালেদ। নতুন কিংবা পুরাতন বল, কখনোই অধিনায়কের আস্থা হতে পারেননি। বেশিরভাগ সময়ই পায়ের উপর বল করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের উইকেটে সেট করার কাজটাই যেন করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেস সহায়ক কন্ডিশনে ভালো করলেও হোম কন্ডিশনে খালেদ পুরোপুরি ব্যর্থ।