পেসারদের দুর্ভাগা বললেন সাকিব

বাজে ব্যাটিংয়ের পরও অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ দলের সামনে সুযোগ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরার। পেসাররা সেই উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসারদের জন্য থাকা সুবিধা কাজে লাগিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। কিন্তু দিনশেষে তাদের প্রচেষ্টা স্কোরবোর্ডে পুরোপুরি প্রতিফলিত হচ্ছে না।

ক্যাচ ফেলে না দিলে পেসাররা এমন আরও আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে পারতেন

কারণ ক্যাচ মিসের চিরচেনা ভুলে ডুবেছে বাংলাদেশ। টেস্টের প্রথমদিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৫ রান। স্বাগতিকদের উইকেট পতনের সংখ্যাটা আরও একটু বেশি হতেই পারতো। কিন্তু মুমিনুল হক, লিটন দাসরা ক্যাচ ফেলায় চাপে পড়তে হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ১০৩ রানে।

দিনশেষে পেসারদের জন্য আক্ষেপ ঝরেছে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেও। সুযোগ মিসের কথা বলেছেন তিনি। সঙ্গে পেসাররা কিছুটা দুর্ভাগা ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন সাকিব।

দিনের খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আজকের দিনে আমি খুবই খুশি। কিছু হাফ চান্স ছিল, সেগুলো নিতে পারলে পেসারদের জন্য পারফেক্ট একটা দিন হতো। পেস বিভাগ খুবই ভালো বল করেছে। মোস্তাফিজ দারুণ ছিল। খালেদও অনেক ভালো বল করেছে নতুন বলে। এবাদত সবসময় ভালো বল করছে।’

প্রথমদিন শেষে ৪২ রানে অপরাজিত উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট দুবার জীবন পেয়েছেন। ইনিংসের তৃতীয় ও মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ ফেলেন মুমিনুল। এতে শূন্য রানে জীবন পান ব্রাথওয়েট। ইনিংসের ২৮তম ওভারে মোস্তাফিজের করা চতুর্থ বলে রেয়মন রেইফারের ক্যাচ প্রথম স্লিপে মিস করেন লিটন দাস। ৪ রানে বেঁচে যান রেইফার। ওই ওভারের ঠিক পরের বলেই দ্বিতীয়বার জীবন পান ব্রাথওয়েট। এবারও ক্যাচ ফেলেন লিটন দাস। তাতে আবারও ১৫ রানে জীবন পান উইন্ডিজ অধিনায়ক।

ক্যাচগুলো না পড়লে প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতেন সাকিব, ‘পেসাররা একটু আনলাকি। আরও দুটি উইকেট পেলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতাম। যদি ১০০ রানে ৪ উইকেট থাকত, তাহলে কাল আরও ১০০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করলে আমরা ম্যাচে থাকতাম। এখনো হবে না, তা বলছি না।’