মিরাজের সাফল্যে মুমিনুল-তাইজুলের অবদান

অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে সুবিধা করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি এ অফস্পিনার ৭ ওভারে ২৮ রান দিয়েছিলেন। প্রথম দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন তিনি। তবে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসটা ২৬৫ রানে আটকে রাখার পেছনে ২৪ বছর বয়সী এ স্পিনারের রয়েছে বড় অবদান।

মেহেদী হাসান মিরাজ

মিরাজ ৫৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। বোলিং করেছেন ২২.৫ ওভার। দ্বিতীয় দিনে বোলিং করেছেন ১৫.৫ ওভার, ৩১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ছিল চারটি মেডেন ওভার। বোলিংয়ে নিজের সাফল্যের পেছনে মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মিরাজ। একাদশের বাইরে থেকেও তাইজুল মিরাজকে উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছেন।

প্রথম দিনে নিজের বোলিং নিয়ে হতাশ ছিলেন মিরাজ নিজেও, ‘প্রথম দুই স্পেলে আমি সঠিক জায়গায় বল করিনি। তাই হতাশ ছিলাম। আমার মনোযোগ ফেরানো প্রয়োজন ছিল।’

মুমিনুল-তাইজুলের টিপসে মনোবল ফিরে পান মিরাজ, ‘মুমিনুল (হক) ও তাইজুল (ইসলাম) আমাকে সাহায্য করেছে। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, সমর্থন দিয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

অ্যান্টিগার উইকেটের ধরণ বুঝতে সময় লেগেছিল মিরাজের। উইকেট বুঝে ডট বলের চেষ্টাই করেছেন তিনি, ‘উইকেট খানিক ধীরগতির। তাই আপনি যদি টানা সঠিক জায়গায় বোলিং করেন তাহলে সুযোগ আসবেই। তাই আমি (দ্বিতীয় দিন) বেশি বেশি ডট বল করতে চাচ্ছিলাম।’

প্রথম দিনে উইকেট পাওয়ার চেষ্টায় বোলিং করাই কাল হয়েছিল মিরাজের। পরে রান আটকানোর চেষ্টা করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি।

দিন শেষে মিরাজ বলেন, ‘প্রথম দিন আমি উইকেটের জন্য বল করছিলাম। এটিই সমস্যা হয়ে যায়। পরে আমি রান কমিয়ে বোলিং শুরু করি। আমার মনে হচ্ছিল ওভারপ্রতি দুই-আড়াই রান করে দিলেই সুযোগ পাব। এসব জিনিসই আমার পক্ষে কাজ করেছে।’