ফ্রান্স ছেড়ে ইতালিয়ান ফুটবলে নাভাস

একজন ফুটবলারের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপারটি হচ্ছে ফিট হয়ে বেঞ্চে বসে থাকা। গত মৌসুমে এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা বহুবার হয়েছে কেইলর নাভাসের। নতুন মৌসুম শুরুর আগেই তার জন্য সময়টা হয়ে উঠেছিল আরো কঠিন। প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) নতুন কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের সরাসরি জানিয়ে দেন, তার পছন্দের প্রথম গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।

কেইলর নাভাস

খুব স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে পড়েন পিএসজির শেষ প্রহরী। এই হতাশার জের ধরে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোস্টা রিকা অধিনায়ক। প্যারিসে তিন বছর কাটানোর পর তিনি পাড়ি জামাচ্ছেন ইতালিয়ান ফুটবলে। নাভাসের নতুন ঠিকানা হতে যাচ্ছে নাপোলি। খবরটি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম করেইরে ডেল্লো স্পোর্ট।

আজকালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটা হয়ে যাওয়ার কথা। চুক্তির আলোচনায় প্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নাভাসের চড়া বেতন। প্যারিসিয়ানদের হয়ে বেতন-বোনাস ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে বার্ষিক দশ মিলিয়ন ডলারের বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন নাভাস। কিন্তু পিএসজির মতো আর্থিকভাবে অতটা সচ্ছল নয় নাপোলি। তাই পারিশ্রমিকে কিছুটা ছাড় দিতে হচ্ছে তাকে।

পিএসজি

নাভাসের নাভাস হয়ে ওঠার গল্পটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে বেঞ্চে বসিয়ে গোলবারের নিচে তাকে ঠাঁই দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান কোচ হোসে মরিনহো। অমন চাপের মুখে নিজের সেরাটা উপহার দেন কোস্টারিকান সেনসেশন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছে রিয়াল।

কয়েক বছর আগে নতুন গোলরক্ষক হিসেবে চেলসি থেকে থিবাউট কোর্তোয়াকে নিয়ে আসে স্প্যানিশ ক্লাবটি। পরে নাভাস যোগ দেন পিএসজিতে। এখানে ভালোই কাটছিল তার সময়। বিপত্তি বেঁধেছে গত মৌসুম শুরুর আগে। এসি মিলান থেকে গোলরক্ষক ডোন্নারুম্মাকে দলে টানে পিএসজি, যাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যান নাভাস। পিএসজিতে তিন বছরে প্রায় ছয় হাজার মিনিট খেলেছেন তিনি।

গত মৌসুমে দোন্নারুম্মা-নাভাস দুজনকে সমন্বয় করিয়ে খেলিয়েছেন পিএসজির সাবেক কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। আর্জেন্টাইন কোচকে কয়েক সপ্তাহ আগে বিদায় করে দিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি। নতুন কোচ হিসেবে যোগ দেন গালতিয়ের। তিনি এসেই সাফ জানিয়ে দেন, নাভাসকে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রাখতে পারছেন না। তখন থেকেই নাভাসের দলবদলের গুঞ্জন শুরু হয়, যা এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে।