এসি মিলানের ঘরের মাঠে নাপোলির রেকর্ড একেবারেই বাজে। বেশিরভাগ সময়ই এসি মিলানের মাঠ থেকে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে নাপোলিকে। তবে গতকাল রোববার সান সিরোতে কি দাপটটাই না দেখিয়ে এলো তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটের মধ্যেই ২-০ গোলে এগিয়ে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের গুরুত্বপূর্ণ এক জয় নিয়ে ফিরেছে নাপোলি। এমন বদলে যাওয়ার রহস্য কী? রহস্য নাকি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা!
ম্যারাডোনার ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ কেটেছে এই নাপোলিতে। তার কিংবদন্তী হওয়া গল্পে এই নাপোলি আছে অনেক অধ্যায়জুড়ে। কিন্তু সেটা তো সেই ১৯৮০-৯০ এর ঘটনা। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত নাপোলিতে খেলেছেন ম্যারাডোনা। তাহলে এখন আবার নাপোলির জয়ে ভুমিকার রাখলেন কিভাবে?
উত্তর দিলেন নাপোলির কালকের জয়ের নায়ক ফরোয়ার্ড হোসে কায়েহন। এসি মিলানের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে নাপোলির অনুশীলনে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। গিয়ে উত্তরসূরীদের নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। ম্যারাডোনার এমন সাহচর্যই নাপোলির সেরাটা বের করে এনেছে।
কায়েহন বলেছেন, ‘জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। সান সিরোতে খেলা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু আমরা যে দারুণ তা প্রমাণ করেছি। আর হ্যা, ম্যারাডেনার প্রভাব তো ছিলই।’
কাল মিলানের মাঠে ম্যাচের ৬ মিনিটে ইনসিনিয়ের গোলে এগিয়ে যায় নাপোলি। ৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কায়েহন। পরে একটির বেশি গোল করতে পারেনি এসি মিলান। ফলে দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব।