পিএসজির বিপক্ষে ‘রূপকথা’ রচনা করেছিলেন বলেই মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের নিয়ে আরেকটি রূপকথার স্বপ্ন দেখছিলেন বার্সেলোনা সমর্থকরা। কিন্তু অলৌকিক কিছু কি আর প্রতিদিন ঘটে! গত রাতে পিএসজি রূপকথার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারলেন না মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগটা জুভেন্টাসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে জুভেন্টাসের মাঠ থেকে হেরে এসেছিল ৩-০ গোলের ব্যবধানে। যাতে দুই লেগ মিলিয়ে ওই ৩-০ গোলের ব্যবধানেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিশ্চিত হলো স্পেনের অন্যতম সফল ক্লাবটির।
শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে সমীকরণ ছিল পিএসজির বিপক্ষে অন্তত্য পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। নেইমারের কাঁধে ভর করে সেই সমীকরণ মিলিয়েছিল বার্সা। জুভেন্টাসের বিপক্ষে সমীকরণটা আর একটু সহজই ছিল। চার গোলের ব্যবধানে জিততে হতো। কিন্তু বার্সার বিশ্বসেরা আক্রমণভাগকে একটিও গোল আদায় করতে দেয়নি জুভেন্টাসের জমাট রক্ষণ।
চিরাচরিতভাবেই ইতালির দলগুলোর রক্ষণ সামলিয়ে খেলে। জুভেন্টাসের বেলায় বিষয়টি আরও দৃঢ। সেটার উপযুক্ত প্রমাণই রাতে বার্সেলোনার মাঠে রেখেছে জুভেন্টাস। জর্জো কিয়েল্লিনি, দানি আলভেস, লিওনার্দো বনুচ্চিদের নিয়ে গড়া জুভেন্টাসের রক্ষণ দারুণ ভাবে আটকে দিয়েছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের। ঠিকমতো জায়গাই পাননি বার্সার তারকারা।
তবে সুযোগ যে আসেনি তেমনটা নয়। জমাট রক্ষণের মধ্যেও অনেকবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি-নেইমাররা। কিন্তু চূড়ান্ত সফলতা মিলেনি তাদের। ম্যাচের ১৭ মিনিটে মেসির লম্বা থ্রুতে পা লাগাতে পারেননি জর্দি আলবা। দুই মিনিট পরই দুর্দান্ত একটা শট নিয়েছিলেন মেসি নিজেই। কিন্তু বার ঘেসে বেড়িয়ে যায়।
৬৬ মিনিটে সুবিধাজনক স্থানে বল পেয়েও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। কাছাকাছি জায়গায় দুটি ফ্রি-কিক পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসি। বার্সেলোনা জুভেন্টাসের গোলবার লক্ষ্যে শট নিয়েছে মোট ১৯টি। আর তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি! বুঝুন এবার।
জুভেন্টাসের রক্ষণ চীনের প্রাচিররের মতো তো দাঁড়িয়ে ছিলই, পাশাপাশি তৈরি করার সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে পারেননি বার্সেলোনা ফুটবলাররা। ফলাফল, গোলশূন্য ড্র। যাতে কোয়ার্টার থেকেই বিদায় নিশ্চিতের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যদের।