‘দাঁত ভাঙা জবাব’ই বলতে হবে। কতো অবজ্ঞারই তো শিকার হচ্ছেন অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তাকে নিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, এডিনসন কাভানির সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ খেলছিলেনও। কিন্তু এবারের মৌসুমের আগে নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজিতে আসতেই কদর কমে যায় ডি মারিয়ার।
এতোটাই যে কিলিয়ান এমবাপ্পে বা নেইমার কোনো কারণে খেলতে না পারলে তবেই ডাক পরে ডি মারিয়ার। রাগে-ক্ষোভে ক্লাবও ছাড়তে চেয়েছিলেন। গত জানুয়ারির দলবদলে বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত ডি মারিয়া পিএসজিতেই আছেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের চোট আর লাল কার্ডের শাস্তি এবং নেইমারের অনুপস্থিতিতে ইদানিং মাঠে বেশি দেখা যাচ্ছে আর্জেন্টিনা তারকাকে।
আর সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছেন ‘আমাকে অবজ্ঞা করা ঠিক হচ্ছে না!’ যখনই সুযোগ পাচ্ছেন পার্থক্য গড়ে দেয়ার মতো ফুটবল উপহার দিচ্ছেন ডি মারিয়া। সামনে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মহা-গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে কাল নেইমার ছিলেন না পিএসজির ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচে। ফলে শুরুর একাদশেই জায়গা মিলেছিল আর্জেন্টিনা তারকার। আর এই সুযোগটা পেয়ে হ্যাটট্রিকই তুলে নিয়েছেন ডি মারিয়া।
সোশোর বিপক্ষে পিএসজিও জিতেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। পিএসজির অপর গোলটি এডিনসন কাভানির। এই জয়ে ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ আটে উঠে গেছে ফ্রান্সের বর্তমান সেরা ক্লাবটি।
কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে দারুণ এক হেড করে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পিএসজিকে ১-০ তে এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ১৩ মিনিটে সোশো গোল পরিশোধ করে দিলেও বড় জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। ২৭ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন এডিনসন কাভানি। ৪১ মিনিটে থিয়েগো সিলভার হেড পোস্টে লেগে ফিরে না এলে তখনই ৩-১ হতে পাড়ত। ৩-১ হলো ৫৮ মিনিটে গিয়ে।
মার্কো ভেরত্তির পাস বাঁ-পায়ের দারুণ শটে জালে বল জড়ান ডি মারিয়া। ৬১ মিনিটে গিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আর্জেন্টিনা তারকা। যাতে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ পিএসজি।