বার্সেলোনার ‘বি’ দলের হয়ে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু সেই ২০০০ সালে। অর্থাৎ প্রায় দেড় যুগ পেরিয়ে গেছে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। বয়স ৩৪ হতে চলল, সেই কারণেই হয়তো ভাবছেন, আর কতো! ‘বিদায়ে’র প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এলেন ইনিয়েস্তা। আগামী রাশিয়া বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরে যাওয়ার আভাস দিয়ে দিলেন বার্সেলোনার সোনালী প্রজন্মের প্রথম সারির সৈনিক।
২০০২ সালে সুযোগ পেয়েছিলেন বার্সেলোনার মূল দলে। ইনিয়েস্তাকে শুধু বার্সেলোনার সোনালী প্রজন্মের সৈনিক নয়, স্পেনেরও সোনালী প্রজন্মের অন্যতম সেরা সৈনিক।
অনেক বছর ধরেই স্পেনের আক্রমণভাগে বড় কোনো তারকা নেই। তারপরও ২০১০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে দলটি। টানা দুবার ইউরো জিতেছে ২০০৮ ও ২০১২ সালে। আর এসব কৃতিত্বে ইনিয়েস্তার ছিলো বড় ধরনের ভুমিকা। জাভি অবসরে যাওয়ার আগে দুজনে জুটি বেঁধে মাঝমাঠে নিয়মিত ফুল ফুটিয়েছেন। স্পেনের আক্রমণভাগের দুর্বলতা বাজে ভাবে ফুটে উঠেনি এই জুটির কারণেই। জাভি-ইনিয়েস্তা জুটি যতো উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন তাদেরকে ভুলতে পারবে না স্পেন ফুটবল।
তবে লিওনেল মেসি নামের একজন জাদুকরকে পেয়েছিলেন বলেই স্পেনকে ছাপিয়ে বার্সার ইনিয়েস্তা-জাভি জুটিকেই অবশ্য বেশি মনে রাখবেন ফুটবলভক্তরা। বার্সার হয়ে হয়তো আরও এক দুই মৌসুম খেলবেন ইনিয়েস্তা। কিন্তু স্পেন অধ্যায়টা শেষ হতে পারে রাশিয়া বিশ্বকাপের পরই। এই রকম একটি আভাস দিয়ে স্পেনের রেডিও কাদেনা সেরকে ইনিয়েস্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে, জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে আমি শেষবার খেলব।’
স্প্যানিশদের একটি বিশ্বকাপ, দুটি ইউরো এনে দেওয়াতে বড় ভূমিকা ইনিয়েস্তার। স্পেনকে আরও কতো উদযাপনের উপলক্ষই এনে দিয়েছেন। বিদায়বেলায় সেই ইনিয়েস্তাকে কি দারুণ কিছু উপহার দিতে পারবে স্পেন?