অনাহুত ইনজুরি তাকে ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তিনি এখন সময় কাটাচ্ছেন রিও ডি জেনিইরোর এক রিসোর্টে। তাই বলে দল তো আর বসে থাকতে পারে না! শুক্রবার রাতে দলের প্রাণভোমরা নেইমারকে ছাড়াই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেমে প্রীতি ম্যাচে নেমে পড়তে হয় ব্রাজিলকে। ম্যাচে অবশ্য প্রীতি নয়, যুদ্ধের ঝাঁজই ছড়িয়েছেন কুতিনহো-পাওলিনহো-উইলিয়ানরা। নেইমারের অনুপস্থিতি একটুও টের পেতে দেননি তারা। ব্রাজিল ম্যাচটি জিতেছে ৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
তবে রুশ দুর্গ লুঝনিকি স্টেডিয়ামে প্রথম গোলের জন্য ব্রাজিলকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ৫৩ মিনিটে এমন একজনের গোলে সেলেকাওরা লিড নেয়, যার আসল কাজ রক্ষণ সামলানো। ওলিনহো-কুতিনহোরা যখন ধারাবাহিক সুযোগ মিস করছিলেন তখন আক্রমণে এসে গোলমুখটা খুলে দিয়ে যান মিরান্ডা। থিয়াগো সিলভার হেডটা রাশান গোলরক্ষক রুখে দিলে ফিরতি শটে গোল করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার। তার আগে রাশানদের কয়েকটা প্রতিআক্রমণ ব্যর্থ করে দেন মিরান্ডা-সিলভা জুটি।
অবশ্য বল দখলের লড়াই এবং আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে ঠিক চেনা ছন্দে ছিল না ব্রাজিল। বিরতির পরই স্বরূপে ফেরে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় একচ্ছত্র আধিপত্যে রুশ প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেন টিটের শিষ্যরা। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তুলে নেয় দুর্দান্ত একটা জয়। এই জয় দিয়েই আসন্ন বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিপর্ব শুরু করল ব্রাজিল।
রাশিয়ার জালে প্রথম বল জড়ানোর সম্ভাব্য সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন পাওলিনহো। কিন্তু ৪৭ মিনিটে উইলিয়ানের চমৎকার জোগানটার সুন্দর সমাপ্তি দিতে পারেননি বার্সেলোনা তারকা। গোলমুখে দাঁড়িয়ে গোল মিসের খেসারতটা অবশ্য ৬৬ মিনিটেই দিয়েছেন পাওলিনহো।
বার্সা মিডফিল্ডার করেন ব্রাজিলের তৃতীয় ও নিজের প্রথম গোলটা। গোলের উৎস সেই উইলিয়ানই। চেলসি মিডফিল্ডারের দারুণ ক্রসে মাথা ছুঁয়ে রাশিয়ার জালে বল জড়ান পাওলিনহো। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলেও অবদান আছে পাওলিনহোর। পেনাল্টিটা যে তার সৌজন্যেই এসেছিল।
নিজেদের বিপদসীমায় পাওলিনহোকে ফেলে দেন রাশান ডিফেন্ডার আলেকজান্দ্রার গ্লোভিন। ৬২ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করতে বেগ পেতে হয়নি কুতিনহোকে।