ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার দ্য জুনিয়র সান্তোসকে দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ অবধি পিএসজি স্ট্রাইকার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে ইতোমধ্যেই ‘নতুন নেইমার’ খ্যাত বিস্ময় বালক আসছেন মাদ্রিদে। নতুন নেইমার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া তরুণের নাম ভিনিচিয়াস জুনিয়র।

vinicius celebrates a goal

ব্রাজিলিয়ান জায়ান্ট দল ফ্ল্যামেঙ্গোর জার্সিতে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ভিনিচিয়াস। কিন্তু তাকে বিশ্ব চিনেছে অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। দুর্দান্ত দ্যুতি ছড়ানোর সুবাদে আসরের গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল (সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা) দুটো পুরষ্কারই পেয়েছেন তিনি।

তাই বয়সটা মাত্র ১৭ হলেও এই প্রতিভাকে দলে টানতে মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ভিনিচিয়াসকে পেতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে রিয়াল। আস্থার প্রতিদান দিতে চাইবেন ব্রাজিলিয়ান এই উঠতি তারকাও। কিন্তু এত কম বয়সে রিয়াল মাদ্রিদের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলার চাপটা সইতে পারবেন তো ভিনিচিয়াস? ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপযুক্ত সতীর্থ হয়ে উঠতে পারবেন তো? যাকে নিয়ে এই শঙ্কা সেই তিনিই অকুতোভয়।

বলছেন, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে মাঠে নামাটা তার কাছে চাপের কিছু নয়। নির্ভার হয়েই ইউরোপিয়ান ফুটবল মাতানোর স্বপ্ন দেখছেন ব্রাজিলের আগামী দিনের স্বপ্নদ্রষ্টা। ভিনিচিয়াস বলেছেন, ‘ওখানে চাপের কিছু দেখছি না। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। মাঠে সবাইকে বিনোদন দেওয়াই আমার লক্ষ্য। মাঠে কিংবা এর বাইরে চাপ নেওয়ার মতো কিছু নেই।’

রিয়ালে পা রাখার আগেই অবশ্য ক্লাবের ভেতরের আবহ কিছুটা আঁচ করতে পারছেন ভিনিচিয়াস। কথা বলেছেন রোনালদোর সঙ্গে। রিয়ালে থাকা স্বদেশি বড় ভাই মার্সেলো-ক্যাসেমিরোদের সঙ্গে তো মাঝেমাঝেই কথা হয়। ভিনিচিয়াস বলেছেন, ‘আমি রোনালদোর সঙ্গে কথা বলেছি। ওখানে যাওয়ার আগেই তিনি আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন। ক্লাবের অনেকের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। মার্সেলো এবং ক্যাসেমিরোর সঙ্গে অবশ্য একটু বেশি। আমি রিয়াল মাদ্রিদের মৌলিক দিকগুলো খুঁজে বের করেছি।’

ভিনিচিয়াসের কথাতেই স্পষ্ট, সাহসী ফুটবলার তিনি। অবশ্য তা না হলে এতো এতো অর্জন হয়তো হতো না! মাত্র বছর ১৩ বয়সে অনূর্ধ্ব-১৫ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন, মাতিয়েও এসেছেন ভিনিচিয়াস। পেশাদার ক্লাবে অভিষেক ঘটেছে ১৬ বছর বয়সেই। গত বছর জিনিচিয়াসের সঙ্গে চুক্তি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর। তারপর থেকে এ পর্যন্ত তাকে মাত্র ২৫টি ম্যাচ খেলিয়েছে ক্লাবটি। ভিনিচিয়াসকে নিয়ে যথেষ্টই সতর্ক ফ্ল্যামেঙ্গো। কারণ তার সামনে পড়ে আছে উজ্জ্বল ভবিষ্যত। তবে ভিনিচিয়াস বললেন যতোদিন আছেন ক্লাবকে সহায়তা করতে চান তিনি, ‘আমি ফ্ল্যামেঙ্গোতে খুব সুখে আছি। যতদিন আছি দলকে সাহায্য করে যাবো।’

২০০০ সালে ব্রাজিলের রিও জেনিইরোর সাও গঞ্চালোতে ভিনিচিয়াসের জন্ম। এবং সেখান থেকেই বেড়ে ওঠা; বড় মাপের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা। এই স্বপ্নযাত্রায় ভিনিচিয়াসের আদর্শ রবিনহো। মজার ব্যাপার হলো এই রবিনহোর দল অ্যাটলেটিকো মিনিইরোর বিপক্ষে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল ১৮ ছুঁই ছুঁই ভিনিয়াসের।

ভিনিচিয়ান জানালেন, রবিনহো আদর্শ হলেও অনুপ্রেরণা খুঁজে পান স্বদেশি কিংবদন্তি রোনালদিনহো এবং নেইমারের কাছ থেকে, ‘আমি যখন খেলা শুরু করি তখন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার আদর্শ কে? আমি তখন ভাবতাম রবিনহোর কথা। কিন্তু ফুটবলে আমার অনুপেরণার উৎস রোনালদিনহো এবং নেইমার।’

খেলার ধরন আর প্রতিভার বিচারে ভিনিচিয়াসকে অনেকেই ‘অনুপ্রেরণার উৎস’ নেইমারের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু এটা একদম পছন্দ নয় তার, ‘আমি এসব ভেবে খেলি না। কিন্তু নেইমারকে অনুসরণ করে আসছি। প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হচ্ছে। আমি তার খেলা দেখি এবং নিজের উন্নতি করার চেষ্টা করি। আমি আরেকজন নেইমার হতে চাই না। আমি আমার মতো করে ক্যারিয়ার গড়তে চাই। ব্রাজিলের প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার লক্ষ্য।’

যাকে নিয়ে কথা বলছেন ভিনিচিয়াস সেই নেইমারই আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিলের স্বপ্নযাত্রার মূল কাণ্ডারি। এই ফুটবল বিস্ময়ের বিশ্বাস আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেই দেশে ফিরবে ব্রাজিল। তিনি বলেছেন, ‘টিটে (ব্রাজিল কোচ) দুর্দান্ত একজন কোচ। আমাদের দলে নেইমার, জেসুস, কুতিনহোদের মতো বিশ্ব সেরা ফুটবলাররা আছেন। আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতব। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরব।’

ভিনিচিয়াসের আশার প্রতিফলন ঘটবে তো? উত্তরটা সময়ই বলে দেবে।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.