দীর্ঘ ২২ বছরের মধুচন্দ্রিমা শেষ হচ্ছে এই মৌসুমেই। আর্সেনাল ছেড়ে যাচ্ছেন কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। নতুন মৌসুমে কোথায় যাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ কোচ? প্রশ্নের উত্তরের জন্য চলছে জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে ‘দ্য প্রফেসর’কে চেয়ে বসল ইংলিশ আরেক ক্লাব এভারটন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকবারই কোচ পরিবর্তন করেছে এভারটন। ডেভিড ময়েসের পর মার্সিসাইড ক্লাবটিতে অবশ্য থিতু হতে পারেননি কোনো কোচই। এবার ওয়েঙ্গারের ওপর আস্থা রাখতে চান ক্লাবের মালিক ফরহাদ মশিরি।
গত বছরের জানুয়ারিতে স্যাম অ্যালার্ডাইসকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল এভারটন। এই মৌসুম শেষেই তার সঙ্গে ক্লাবের দেড় বছরের চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। এভারটন অবশ্য তার সঙ্গে চুক্তির নবায়নে যাচ্ছে না। অ্যালার্ডাইসের উত্তরসূরি হিসেবে ওয়েঙ্গারকে নিয়োগ দিতে চায় মার্সিসাইড ক্লাবটি। এ জন্য আর্সেনালে ফ্রেঞ্চ কোচ যা পারিশ্রমিক পান তাই দিতে প্রস্তুত আছেন এভারটনের মালিক। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য সান’ এক প্রতিবেদনে এমনটিই নিশ্চিত করেছে।
মৌসুম শেষে চাকরির অভাব হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছিলেন ওয়েঙ্গার। কিংবদন্তি কোচের কথাটা যে ফাঁকা বুলি ছিল না সেটা কদিনের মধ্যেই বোঝা গেছে। এই যেমন পিএসজি তাদের ফুটবল পরিচালক হিসেবে ওয়েঙ্গারকে নিয়োগ দিতে চায়। ফ্রেঞ্চ কোচের সাবেক ক্লাব মোনাকোও রাজি আছে পুণরায় তার হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিতে। এর মধ্যে আবার এভারটনের প্রস্তাব।
ইউরোপের বাইরেও ওয়েঙ্গারের চাহিদা আকাশচুম্বি। চীন এবং জাপানের ক্লাবগুলো তার সঙ্গে চুক্তি করার জন্য মুখিয়ে আছে। আবার বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা চাইছে ওয়েঙ্গার যাতে তার দীর্ঘদিনের কোচিং অভিজ্ঞতা সংগঠনের হয়ে কাজে লাগান। ফুটবলার তৈরির কারিগর অবশ্য এখন পর্যন্ত কাউকেই কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।
শেষ পর্যন্ত ওয়েঙ্গার কোথায় যাচ্ছেন? উত্তরটা তোলা থাকল ভবিষ্যতের জন্য।