বিশ্বকাপে যৌন কেলেঙ্কারির বিতর্কটা নতুন কিছু নয়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তরুণ ফুটবলারই এ ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি রোমারিও।
আসন্ন বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে যে কজন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাদের মধ্যে একজন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম শেষ করার অপেক্ষায় আছেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে রাশিয়া বিশ্বকাপে জেসুসের থাকাটা নিশ্চিত।
বিশ্বকাপ ফুটবল অভিযান শুরুর আগে তাকে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়েছেন পূর্বসুরি রোমারিও। প্রয়োজনে জৈবিক চাহিদা পূরণ করে রাশিয়া যাত্রা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ১৯৯৪ ব্রাজিলের বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি।
৫২ বছর বয়সী রোমারিও ম্যাগাজিন ‘ল্যান্স’কে বলেছেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈবিক চাহিদা মেটানোও একটা পরামর্শ। যতটা সম্ভব এটা উপভোগ করো তোমার ছুটির দিনগুলোতে। এবং অবশ্যই ম্যাচের দিন এবং টুর্নামেন্টের সময় পুরোপুরি মনোযোগী থাকো।’
ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) মিশন সম্পর্কে জেসুস অবগত আছেন বলে মনে করছেন রোমারিও। বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস জেসুস নিজের খেলা নিয়ে সচেতন আছে। ব্রাজিলিয়ান জাতির প্রতিনিধি হিসিবে করণীয় কী সেটাও ও জানে।’
জেসুসকে উদ্দেশ্য করে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার রোমারিও আরো বলেছেন, ‘অন্যসব প্রতিযোগিতার চেয়ে বিশ্বকাপ একেবারেই আলাদা। এখানে তোমাকে শতভাগ মনোনিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় তুমি নিজের সেরাটা দিতে পারবে না।’
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল তো বটেই, সব মহাদেশ মিলিয়ে সবার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে ব্রাজিল। সেলেকাওদের এই দুর্দান্ত যাত্রায় অবদান ছিল জেসুসের। বাছাইপর্বে ১৫ ম্যাচে সাতটি গোল করেছেন সিটি স্ট্রাইকার।
আগামী ১৪ জুন পর্দা উঠবে ফিফা বিশ্বকাপের। তবে ব্রাজিলের জন্য আসর শুরু হবে দুদিন পর। ১৭ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ‘ই’ গ্রুপে ব্রাজিলের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা এবং সার্বিয়া।