গেল এক যুগের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারের বর্ণিল যাত্রায় দুজন ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ড; গড়েছেন একের পর এক ইতিহাস। শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ডে কখনো রোনালদো এগিয়ে কখনো বা মেসি। কিন্তু দুজনের এমন কিছু অর্জন আছে যেখানে কেউ এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই। দুজনই আছেন এক বিন্দুতে। এমন চারটি রেকর্ড পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:

messi ronaldo record

লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: রিয়াল মাদ্রিদে নয় বছর ছিলেন রোনালদো। স্প্যানিশ লা লিগায় এই নয় মৌসুমের একটিতে সর্বোচ্চ আটটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ। ২০১৪-১৫ মৌসুমে মেসির রেকর্ডে ভাগ বসান ‘সিআর সেভেন’। রোনালদো মে মাসেই করেন হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক! মেসি সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছিলেন ২০১১-১২ মৌসুমে। ওই মৌসুমে ৩৭টি লিগ ম্যাচে গোলের হাফসেঞ্চুরি করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

এফআইএফপ্রো’র একাদশে সর্বোচ্চ বার: ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু হয় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব প্রফেশনাল ফুটবলার্সের (এফআইএফপ্রো)। বিশ্বব্যাপী পেশাদার ফুটবলারদের ভোটে প্রতিবছরই এফআইএফপ্রো‘র সেরা একাদশ নির্বাচন করা হয়। যেখানে মেসি ও রোনালদো দুজনই সর্বোচ্চ ১৩বার এই একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন।

একাদশে তিনজন ফরওয়ার্ড, তিনজন মিডফিল্ডার, চারজন ডিফেন্ডার ও একজন গোলরক্ষক নির্বাচন করা হয়। ২০০৭ সালে প্রথমবার এই একাদশে ঢুকে পড়েন রোনালদো ও মেসি। কিন্তু মেসি ফরওয়ার্ড হিসেবে সেরা একাদশে থাকলেও রোনালদো জায়গা পান মিডফিল্ডার হিসেবে। সেই যে শুরু, এরপর থেকে আর এফআইএফপ্রো’র একাদশ থেকে বাদ পড়েননি দুজনের কেউ।

মেসি প্রতিবারই বার্সেলোনার প্রতিনিধি হিসেবে এই দলে সুযোগ পেয়েছেন। তবে রোনালদো তিনটি আলাদা ক্লাব- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের হয়ে একাদশে জায়গা পান। রোনালদো ছাড়া কেবল একজনই তিনটি আলাদা ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন। তিনি ব্রাজিল ডিফেন্ডার দ্যানি আলভেজ।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: স্প্যানিশ লা লিগার মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও দারুণ একটা রেকর্ডে যৌথভাবে সিংহাসনে আছেন মেসি ও রোনালদো। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব টুর্নামেন্টে দুজনেরই হ্যাটট্রিক রয়েছে সমান আটটি করে। দুজনের ধারে কাছেও কেউ নেই।

তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট লেভানডফস্কি, মারিও গোমেজ ও লুইজ আদ্রিয়ানোর সমান তিনটি করে হ্যাটট্রিক আছে এই প্রতিযোগিতায়। ২০১০ সালে প্রথমবার আর্সেনালের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের দেখা পান মেসি। এরপর ভিক্টোরিয়া প্লাজেন, বায়ার লেভারকুজেন, আয়াক্স, অ্যাপোয়েল নিকোসিয়া, সেল্টিক, ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসভি আইন্দোফেনের বিরুদ্ধে অন্তত তিন করে গোল করেন মেসি।

মেসির দু’বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। পর্তুগিজ যুবরাজের হ্যাটট্রিকটা ছিল ডাচ ক্লাব আয়াক্সের বিরুদ্ধে। ‘সিআর সেভেনে’র পরের হ্যাটট্রিকগুলো ছিল যথাক্রমে গালাতাসারাই, শাখতার দানেৎস্ক, মালমো, ভলফসবুর্গ, বায়ার্ন মিউনিখ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে।

শেষ দলটির বিরুদ্ধে রোনালদোর হ্যাটট্রিক দুটো। তবে একটা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অন্যটা জুভেন্টাসের জার্সিতে। রোনালদোর এক মৌসুমে তিনটি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড যেমন আছে, তেমনি মেসির আছে দুই মৌসুমে দুটি করে হ্যাটট্রিক।

ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই: ১৯৬৫ সালে প্রচলন শুরু হয় ব্যালন ডি’অরের। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সেরার পুরস্কার মেসি পেয়েছেন ছয়বার। পাঁচবার রোনালদো। কিন্তু একটা জায়গায় দুজনই আছেন যৌথভাবে। ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় দুজনই সমান সর্বোচ্চ ১২ বার ঠাঁই পেয়েছেন। ২০০৭ সালে প্রথমবার সেরা তিনে ঢুকে পড়েন মেসি ও রোনালদো।

ওই বছর দুজনকে হারিয়ে বর্ষসেরার মুকুট জেতেন এসি মিলানের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রিকোর্ডো কাকা। পরের বছর মেসিকে হারিয়ে স্বপ্নের ব্যালন ডি’অরের স্বাদ পান রোনালদো। কিন্তু রাজত্ব ধরে রাখতে পারেননি পর্তুগিজ যুবরাজ। পরেরবারের লড়াইয়ে মধুর প্রতিশোধ নেন মেসি।

শুধু তাই নয়, টানা চারবার ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সেরা তিনে টানা ১১ বার থাকা মেসি ছিটকে যান ২০১৮ সালে। ওই বছরই মেসি-রোনালদোর আধিপত্য গুঁড়িয়ে বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ। রোনালদো ২০১০ সালে একবার সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে জায়গা হারিয়েছিলেন।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.