লিভারপুলের সামনে বড় রেকর্ডের হাতছানি

করোনাভাইরাস মহামারি থামাতে পারেনি লিভারপুল সমর্থকদের। অ্যানফিল্ডের পাশাপাশি উৎসবে মেতেছে গোটা শহর। এর যথার্থ কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে লিভারপুল। বৃহস্পতিবার রাতে চেলসির কাছে ম্যানচেস্টার সিটির ২-১ গোলের হার নিশ্চিত করে দিয়েছে অল রেডদের চ্যাম্পিয়নশিপ। বহু বছর পর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এমন উপলক্ষ্যের আনন্দটা বাঁধভাঙা রূপ নেবে এটাই তো স্বাভাবিক।

মৌসুমজুড়ে লিগে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল। ৩১ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট অল রেডদের। তাদের ধারে-কাছেও আসতে পারেনি কোনো দল। লিগের সাত রাউন্ড বাকি থাকতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। এর আগে সর্বোচ্চ ৫ ম্যাচ হাতে রেখে চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি দেখিয়েছে তিনটি দল।

এরমধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই দুবার। ১৯০৭-০৮ এবং ২০০১-০২ মৌসুমে ম্যানইউ, ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে এভারটন এবং সর্বশেষ ২০১৭-১৮ মৌসুমে ম্যানচেষ্টার সিটি পাঁচ রাউন্ড হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে লিভারপুল। ক্লাবের ১২৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম শীর্ষ লিগের সবকটি দলকে হারিয়েছে তারা।

করোনা আতঙ্কে লিগ স্থগিত হওয়ার আগে ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে ক্লপের দল গড়েছিল অনন্য এক কীর্তি। ম্যানচেস্টার সিটির টানা ১৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডে ভাগ বাসায় অ্যানফিল্ডের দলটি। এ ছাড়া নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে টানা ২৩ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়ে লিভারপুল। ২০১১-১২ মৌসুমে নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ধারাবাহিক ২০টি ম্যাচ জিতেছিল সিটি।

লিভারপুলকে হাতছানি দিচ্ছে আরো কিছু রেকর্ড। দ্বিতীয়স্থানে থাকা দলের সঙ্গে সর্বোচ্চ পয়েন্টের ব্যবধান রেখে মৌসুম শেষ করার সুযোগ আছে সালাহ-ফন ডাইক-ফিরমিনোদের সামনে। লিগে সর্বোচ্চ ১৯ পয়েন্টের ব্যবধান রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়েছিল সিটি। তাদের রেকর্ড ভাঙতে আর পাঁচটি জয় দরকার লিভারপুলের। কার্যত সিটির সঙ্গে তাদের ব্যবধান ২৩।

ক্লপের শিষ্যদের এখন দরকার শুধু ছন্দটা ধরে রাখার। সেক্ষেত্রে আরো একটা রেকর্ড গড়তে পারবে লিভারপুল। তাদের সামনে এখন সর্বোচ্চ ১০৭ পয়েন্ট প্রাপ্তির সুযোগ আছে। লিগের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড সিটি গড়েছিল ২০১৭-১৮ মৌসুমে। সিটিজেনদের এই রেকর্ড ভাঙার খুব কাছেই আছে লিভারপুল।