রোনালদো ছিল না, তবে বিশ্বাস ছিল রিয়ালের

২০১৮ সালে হ্যাটট্রিক উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কীর্তি গড়ার পরই সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নয় বছরের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন পর্তুগিজ যুবরাজ। প্রাণভোমরার এমন সিদ্ধান্তে আকাশ ভেঙে পড়ে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের মাথায়। তবু রোনালদোর শূন্যস্থান পূরণ করেনি মাদ্রিদ জায়ান্টরা।

‘সিআর সেভেন’ যোগ দেন জুভেন্টাসে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় তুরিনের বুড়িরা। আর ভরাডুবি হয় রোনালদোর প্রাক্তন ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের। শিরোপাহীনভাবে মৌসুম শেষ হয় তাদের। এই মৌসুমে রিয়াল দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়ায়। রোনালদোকে ছাড়াই জেতে লা লিগা শিরোপা।

মৌসুমজুড়ে লিওনেল মেসির বার্সেলোনাকে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা যেভাবে চাপে রেখে খেলেছেন সেটার বিশেষণ এক কথায় অসাধারণ। দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের সফল হিসেবে তিন বছর পর লিগ রাজত্বে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলীয় ঐক্য যে  সাফল্যের প্রতীক হতে পারে রিয়াল সেটার উদাহরণ সৃষ্টি করল। দলের সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল, রোনালদোকে ছাড়াই শিরোপা জেতা যাবে।

এনিয়ে লুকা মডরিচ বলেছেন, ‘রিয়ালে রোনালদো ছিল এমন আলোচনাই ছিল গুরুত্বহীন। তবে এটা ঠিক যে, তার অনুপস্থিতির পরও আমাদের উচ্চাকাঙ্খা ছিল। শিরোপা জয়ের পথে আমাদের কোনো বাধা ছিল না। আমরা প্রমাণ করেছি নির্দিষ্ট কারোর ওপর রিয়ালের নির্ভরতা ছিল না। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল তাকে ছাড়াই আমরা ট্রফি জিততে পারি। কারণ স্বতন্ত্র শক্তি নয়, দলই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’

রোনালদো চলে যাওয়ার পর বড় তারকা বলতে ইডেন হ্যাজার্ডকে চেলসির কাছ থেকে কিনেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেটা আক্রমণভাগ নয়, মধ্যমাঠের জন্য। কিন্তু রিয়ালের এক শ মিলিয়ন ইউরো জলে গেল কিনা এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই চোট নিয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন হ্যাজার্ড। যা আটকাতে পারেনি রিয়ালকে। এই মৌসুমে ১৪টি ম্যাচে রিয়ালের শুরুর একাদশে ছিলেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।