‘উত্তরে’ যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণে আর্জেন্টিনা

তিন সপ্তাহ আগে কোপা আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলেছে আর্জেন্টিনা। স্বাগতিক ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং ঘুচিয়েছেন দেশবাসীর ২৮ বছরের অপেক্ষা। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের টুর্নামেন্ট শেষের দিকটায় শুরু হয়েছে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার কনকাকাফ গোল্ড কাপের ফাইনালে মেক্সিকোকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের নির্ধারিত দেড় ঘণ্টা কেটেছে গোলখরায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেই বাজিমাত মার্কিনদের। ম্যাচের সিংহভাগ সময় আধিপত্য নিয়ে খেললেও শেষের হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো মেক্সিকোকে।

টুর্নামেন্টে এটা সপ্তম শিরোপা (সর্বোচ্চ দ্বিতীয়) যুক্তরাষ্ট্রের। এর জন্য মূল কৃতিত্বটা পাবেন মাইলসন রবিনসন। নেভাডা আলিজেন্ট স্টেডিয়ামে ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটা তো তিনিই করেছেন। অথচ ফাইনালে ম্যাচে বলের দখল, মধ্যমাঠ, আক্রমণ, পাসিং, প্লেসিং সবখানেই এগিয়ে ছিল মেক্সিকো। তাদের নিরাশ করেন মার্কিন গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।

ম্যাচজুড়ে মেক্সিকানদের কয়েকবার গোলবঞ্চিত করেন টার্নার। সেই তুলনায় মেক্সিকো গোলরক্ষককে খুব বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি। কিন্তু পেনাল্টিতে ম্যাচ গড়ানোর মিনিট দুয়েক আগেই হয়ে গেল সর্বনাশটা। আটালান্টা ডিফেন্ডার রবিনসনের হেডটা বুঝেই উঠতে পারলেন না মেক্সিকান শেষ প্রহরী। উৎসবে মেতে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। চার বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন তারা।

তিনটি অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে কনকাকাফ গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়ে থাকে। তবে বরাবরই উত্তর আমেরিকার দেশগুলোই বেশি অংশ নিয়ে থাকে প্রযোগিতায়। এর বাইরে মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন কয়েকটা দেশ খেলে থাকে এই প্রতিযোগিতায়। তবে বহুকাল ধরে লড়াইটা মূলত উত্তর আমেরিকানদের।

সেখানে হেরে গেল ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো। গতবারেরও চ্যাম্পিয়নরা হলো রানার্সআপ। ১৬ দলের টুর্নামেন্টে এই পর্যন্ত এসে শিরোপা জিততে না পারায় হতাশ মেক্সিকানরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল এশিয়ান জায়ান্ট তথা ২০২১ বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারও। আমন্ত্রণ পেয়েই টুর্নামেন্ট খেলেছে তারা। কোপাতেই কাতারের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সবশেষ কোপায় অংশ নেয়নি তারা।