এবার লা লিগায় হারল রিয়াল

কদিন আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটনের শিকার হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল হেরে বসে নবাগত শেরিফ তিরাসপলের কাছে। সেই হারের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে স্প্যানিশ লা লিগায় ফিরে আবার হারল দলটি। রোববার রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে এস্পানিয়ল। লিগে অষ্টম ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়।

এবার লা লিগায় হারল রিয়াল

আর লা লিগার চলতি মৌসুমে এটা রিয়ালের প্রথম হার। তবে এই হারের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আনচেলত্তির দল। ১২ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট রিয়ালের। সমান ম্যাচ ও পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে পিছিয়ে দুইয়ে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তিনে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদেরও পয়েন্ট ১৭। সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার নয়-এ নেমেছে বার্সেলোনা। আর নয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থান উঠে এসেছে এস্পানিয়ল।

রিয়ালের সর্বনাশ করেছে তাদেরই সাবেক ফুটবলার রাউল ডি টমাস। ১৭ মিনিটে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে উজ্জীবিত এস্পানিয়লকে এগিয়ে দেন এই ফরওয়ার্ড। গোল শোধে মরিয়া হয়ে পড়ে অতিথি শিবির। কিন্তু রিয়াল সমতায় ফিরবে কি উল্টো ৬০ মিনিটে আরেকটা গোল হজম করে বসে। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যালেক্স ভিদাল।

দুই গোল হজমের পর টনক নড়ে রিয়ালের আক্রমণভাগের। ৭১ মিনিটে স্বস্তির গোল পায় তারা। ব্যবধান কমান করিম বেনজেমা। লিগে আট ম্যাচে এটা নবম গোল তার। ম্যাচের বাকি সময় মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও দ্বিতীয়বার এস্পানিয়লের রক্ষণ প্রাচীর ভাঙতে পারেনি আনচেলত্তির দল। ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারতে হলো রিয়ালকে। আর তিন ম্যাচ থাকতে হলো জয়হীন।

লা লিগায় ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে তিন বছর পর হারাল এস্পানিয়ল। সবশেষ ২০১৮ সালে এস্পানিয়লের মাঠে গিয়ে ১-০ গোলে হেরেছিল জিনেদিন জিদানের রিয়াল। এবার হারল আনচেত্তির রিয়াল। তবে হার ঠেকাতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি রিয়াল। ম্যাচজুড়ে লড়াই করেছে তারা। যদিও গোলের উদ্দেশ্যে নেওয়া ১৮টি শটের একটিতেই ফল এসেছে। বিপরীতে এস্পানিয়লের আট শটের চারটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে।

রিয়াল ছন্দ হারিয়েছে বেশকিছু দিন হবে। লা লিগায় গেল ২৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে রিয়াল। তিন দিন পর চ্যাম্পিয়নস লিগে শেরিফ দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নের সেই ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই আরো একটা পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ। সবমিলিয়ে নাজুক অবস্থা বেনজেমা-ভিনিচিয়াসরা।