উড়ছেন ‘বিশ্বসেরা’ সালাহ

২০১৭ সালের জুনে ইতালিয়ান ক্লাব রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেন মোহাম্মদ সালাহ। এরপর থেকেই যেন মাটিতে পা পড়ছে না তার। পার করছেন ক্যারিয়ার সেরা সময়। স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্স কোচ এবং সাবেক ইংলিশ ফুটবলার স্টিভেন জেরার্ড তো তাকে বর্তমান সময়ের পৃথিবী সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

মোহাম্মদ সালাহ

রোমা থেকে সালাহকে আনতে ৪২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হয়েছিল লিভারপুলকে। চুক্তি হয় পাঁচ বছরের। নতুন ঠিকানায় যোগ দেওয়ার পর কখনোই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সালাহকে। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২১১ ম্যাচে ১৩৩ বার জালের দেখা পেয়েছেন মিশরের তারকা খেলোয়াড়।

গত মৌসুমে লিভারপুলের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। চলতি মৌসুমে নিজেদের আধিপত্য অনেকটাই ফিরে পেয়েছে তারা। এর মূল কৃতিত্ব দিতে হবে সালাহকে। সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনোকে নিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণভাগ গড়েছেন এই ২৯ বছর বয়সী তারকা।

ম্যানসিটির বিপক্ষে দুর্দান্ত সেই গোলের পর সালাহ

লিভারপুল কেন তার পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ ঢেলেছে সালাহ সেটা প্রমাণ করেছেন অনেক আগেই। এই মৌসুমেও যেন নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন। সবধরনের প্রতিযোগিতায় নয় ম্যাচে করেছেন সমান গোল। কদিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো গোল করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সালাহ। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের মতে, ৬০ বছরেও এই গোলটি ভুলতে পারবেন না ভক্তরা।

অ্যানফিল্ডে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডানদিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়ে তিনজনকে কাটিয়ে সামনে অগ্রসর হন। মিশরীয় তারকাকে আটকাতে পারেননি আইমেরিক লাপোর্তা এবং বার্নাডো সিলভাও। সুযোগ বুঝে দুর্দান্ত এক শটে সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করেন সালাহ।

ক্লপের মতে, খেলোয়াড়দের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স ক্লাব কখনও ভুলে যায় না। শিষ্যের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ জার্মান কোচ ক্লপ বলেছেন, ‘সালাহ প্রথম স্পর্শ, প্রথম চ্যালেঞ্জ জিতলেন। তারপর ডান পায়ে বল রেখে গোল করলেন। এটা একেবারে ব্যতিক্রমী ছিল। ক্লাব এই দারুণ মুহূর্তগুলো কখনও ভুলে যায় না। ভক্ত-সমর্থকরাও দীর্ঘ সময় ধরে এই গোল নিয়ে আলোচনা করবে। তারা ৫০-৬০ বছরের মধ্যে এটা ভুলতে পারবে না।’

একনজরে লিভারপুলে সালাহর ক্যারিয়ার:

২০২১-২২: ৯ ম্যাচে ৯ গোল
২০২০-২১: ৩৭ ম্যাচে ২২ গোল
২০১৯-২০: ৩৪ ম্যাচে ১৯ গোল
২০১৮-১৯: ৩৮ ম্যাচে ২২ গোল
২০১৭-১৮: ৩৬ ম্যাচে ২২ গোল