ঘরের মাঠে নিষ্প্রভ মেসিরা

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে উড়তে থাকা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) আবারো হোঁচট খেল। ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে নিঁসকে হারাতে পারল না মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। জয় তো দূরের কথা, গোলই করতে পারেননি মেসি-এমবাপ্পেরা। বুধবার রাতে প্যারিসে এসে পিএসজিকে গোলশূন্য ব্যবধানে রুখে দিয়েছে নিঁস।

মাথা হেট হয়ে গেছে লিওনেল মেসির

পরিচিত দর্শকদের সামনে অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছে পিএসজি। কিন্তু এতো চাপ প্রয়োগের পরও নিঁসের রক্ষণদুর্গ ভাঙতে পারেননি পচেত্তিনোর শিষ্যরা। এমবাপ্পে-মেসিদের হতাশ করেছেন নিঁস গোলরক্ষক ওয়াল্টার বেনিতেজ। পিঠ চাপড়ে দিতে হবে অতিথি ডিফেন্ডারদেরও।

লিগ ওয়ানে টানা চার জয়ের পর পয়েন্ট খোয়াল পিএসজি। তবে দ্বিতীয় ড্রয়ে খুব একটা ক্ষতি হয়নি প্যারিসিয়ানদের। ১৬ ম্যাচে ১৩ জয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। টেবিলে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অলিম্পিক মার্শেইর সঙ্গে ব্যবধান ১২ পয়েন্টের। পিএসজিকে রুখে দেওয়া নিঁস ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে।

পিএসজির লোগো

শীর্ষে থাকা পাঁচ দলের মধ্যে ১৬তম রাউন্ডে জিতেছে কেবল অলিম্পিক মার্শেই। তবে লাইম লাইটে ছিল পিএসজি-নিঁস মহারণ। যেখানে কেউ জেতেনি। ম্যাচের ৭১ শতাংশ বল দখলে রেখে ২২টি শট নিলেও জালের নাগাল পায়নি পিএসজি। লক্ষ্যে তাদের শট ছিল পাঁচটি। বিপরীতে নিঁসের চার শটের দুটি ছিল গোলমুখে।

ম্যাচের আগেই চমকে দিয়েছেন পিএসজি কোচ পচেত্তিনো। একাদশে তিনি রাখেননি আগের ম্যাচের অভিষিক্ত ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসকে। যদিও স্প্যানিশ তারকার অনুপস্থিতি বড় কোনো পরীক্ষায় ফেলেনি পিএসজিকে। পুরো ম্যাচে নজর ছিল আক্রমণভাগ নিয়ে। কিন্তু নিঁসের বিপদসীমায় কেবল নিজেদের হারিয়ে খুঁজলেন দলটির তারকারা।

আগের ম্যাচে জিতলেও পিএসজি হারিয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। ইনজুরি নিয়ে ফের দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তার শূন্যস্থানে একাদশে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু এমবাপ্পে ও মেসির সঙ্গে তার রসায়নটা এদিন জমেনি। গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনজনই। নিঁসের রক্ষণে ফুটে উঠল তাদের অসহায়ত্ব।

নিষ্প্রাণ আক্রমণে নিরাশ করা পিএসজি উল্টো হারতে পারতো। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে তারা। ৫৯ মিনিটে অরক্ষিত নিঁস ফরওয়ার্ড ডলবেয়ার হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। আর দুবার পিএসজিকে গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুম্মা। অন্যথায় বিপদ হতে পারতো।