গতকাল চলমান উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলর ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজির বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। নকআউট পর্ব হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে পিছিয়ে থাকলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হবে। এ কথা ভেবে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে পিএসজিকে জেতাতে জীবন দিতেও রাজি আছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস।
সার্জিও রামোস
সেভিয়া থেকে ২০০৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান রামোস। এরপর দীর্ঘ ১৬টি বসন্ত পার করেছেন লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে। দারুণ পারফর্ম করে দলকে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য শিরোপা। তাতেই বনে গেছেন গ্যালাকটিকোদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন। তবে ভাগ্যের ওপর কারও হাত নেই, সেটা প্রমাণ করেছেন স্প্যানিশ তারকা।
চুক্তি নবায়নে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে একমত না হওয়ায় গত জুনে দুই বছরের জন্য পিএসজিতে পাড়ি জমান রামোস। তাতেই ভেঙেছে ভক্তদের হৃদয়। অনেকে তো এমন কাণ্ডে রীতিমতো অবাক হয়েছেন। তবে পেশাদারিত্বের কথা ভেবে আবেগ পেছনে ফেলে রামোস গুরুত্ব দিয়েছেন বাস্তবতাকে। তারই অংশ হিসেবে এবার প্রথমবারের মতো প্রিয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লড়তে হবে তাকে।
গত মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন রামোস
বয়স ৩৫ এর কোটায় পৌঁছানোর পরও রামোসের ওপর ভরসা রেখেছে পিএসজি। এবার তারই প্রতিদান দিতে চান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পিএসজিকে পরের রাউন্ডে নিতে আমি সবকিছু করবো। তারা আমার ওপর ভরসা রেখেছে। আমি তাদের জন্য জীবন দিতেও রাজি আছি।’
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলা পড়ুক সেটা কখনোই চাননি রামোস, ‘প্লেনে বসে শুনলাম আমরা শেষ ষোলতে প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেয়েছি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমি তাদের পছন্দ করি। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদকে না পেলেই খুশি হতাম।’
‘যদিও সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতে পারবো ভেবে আনন্দ হচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে ভালোভাবে বিদায় নিতে পারিনি। ভাগ্য অনেক অনিশ্চিতভাবে কাজ করে। অন্য কোনো দলের বিপক্ষে খেলা পড়লে খুশি হতাম। সবাই জানে, আমি রিয়াল মাদ্রিদকে কতটা ভালোবাসি।’ যোগ করেন রামোস।