আফ্রিকান ফুটবলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা তৈরি করলে তার নামটা ওপরের দিকেই থাকবে। ফুটবলের মাঠ দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। বুট জোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতির মাঠ কাঁপিয়েছেন জর্জ উইয়াহ। হয়েছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। এক দশক ধরে লাইবেরিয়ার সিংহাসনে বসে আছেন পিএসজি, এসি মিলান, ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক স্ট্রাইকার।
প্রেসিডেন্টের উপদেশ
ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার উইয়াহ, যিনি কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন। তবে রাজনীতির মাঠে থাকলেও ফুটবল মাঠের খোঁজ খবর নিয়মিতই রাখেন উইয়াহ। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় লিগে খেলা আফ্রিকা তারকাদের ওপর। স্যামুয়েল ইতো, দিদিয়ের দ্রগবাদের পর লাইবেরিয়া প্রেসিডেন্ট খেয়াল রাখছেন সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহর প্রতি।
গত কয়েক মৌসুম ধরেই লিভারপুলকে টানছেন এই দুজন। অল রেডদের সাম্প্রতিককালের অনেক ইতিহাসের সাক্ষ্যি আফ্রিকান দুই তারকা। নিয়মিত পারফর্মার তারা। দুজনই এবার ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে আছেন। সালাহ-মানে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন করিম বেনজেমা ও রবার্ট লেভানডফস্কিকে। দুজনের সামনেই এখন ক্লাব মৌসুমের সম্ভাব্য সবকটি শিরোপা জয়ের সুযোগ আছে।
ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার উইয়াহ, যিনি কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন
মানে অবশ্য দুই ধাপ বেশি এগিয়ে আছেন জাতীয় দলের সাফল্যের কারণে। সবশেষ আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ে সামনে থেকে সেনেগালকে নেতৃত্বে দিয়েছেন তিনি। দেশকনে নিয়ে গেছেন কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে। এবার তাঁর সামনে লিভারপুলের হয়ে চারটি শিরোপা জয়ের হাতছানি। তেমনকিছু হলে সেটা সালাহর জন্যও হবে বড় গৌরবের।
এক্ষেত্রে দুজনের একজনের হাতে উঠে যেতে পারে বর্ষসেরার মুকুট। ভক্তরাও খুব করে চাইছেন তাদের হাতে শ্রেষ্ঠত্বের ঝাণ্ডা দেখতে। মনে মনে এমনটা চাইছেন সালাহ-মানেদের আফ্রিকান পূর্বসুরি উইয়াহও। কিন্তু তাদের চাপ দিতে বারণ করছেন তিনি। ব্যালন ডি’অরের জন্য বেশি না ভেবে পারফরম্যান্সে দিকে তাদের মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার ক্যানাল প্লাসকে উইয়াহ বলেছেন, ‘ওদের ব্যালন ডি’অর জিততেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ওদের অপ্রয়োজনীয় চাপ দেওয়া উচিত হবে না। আমি সব সময় আমার পরিবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি ব্যালন ডি’অর পেয়েছি।’ উইয়াহর কথাতে পরিষ্কার, পারফর্ম করলে, কঠোর পরিশ্রম করলে ব্যক্তিগত সাফল্য মিলবে এমনিতেই।
১৯৯৫ সালে ব্যালন ডি’অর জেতেন উইয়াহ। তার ক্যারিয়ার চলাকালীন আফ্রিকান আর কোনো ফুটবলার জিততে পারেননি মর্জাদার এই পুরস্কার।