সাম্প্রতিক সময়ে পারফরমেন্স বিবেচনায় বার্সেলোনার জন্য রিয়াল সোসিয়েদাদ তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। তবে গেরো কাটিয়েছে কাতালানরা। ইমানোল আলগুয়াসিলের দলের বিপক্ষে পরীক্ষায় পেয়েছে শতভাগ মার্ক। এরপরও মন ভরেনি জাভি হার্নান্দেজের। শিষ্যদের কাছে আরও ভালো ফুটবল আশা করেছিলেন বার্সেলোনা হেড কোচ।
পিকের সাথে জাভি
গত দুই বছরের ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর পর নিজেদের চেনা শক্তি ফিরে পেয়েছে বার্সেলোনা। বড় বড় দলগুলোকে উড়িয়ে ব্লুগ্রানররা জানান দিয়েছে, পুনর্জাগরণ হয়েছে তাদের। মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখেছে। উয়েফা ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের পর লিগে কাদিজের কাছে হেরেছে বার্সেলোনা।
টানা দুই হারের ক্ষতে প্রলেপ দিতে একটা জয় খুবই দরকার ছিল বার্সেলোনার জন্য। সে মিশনে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শুরুতেই বাজিমাত করে স্প্যানিশ শীর্ষস্থানীয় দলটি। প্রতিপক্ষের মাঠ রিয়াল অ্যারেনায় ম্যাচের ১১ মিনিটে লিড নেয় সফরকারীরা। সতীর্থ ফেররান তরেসের ক্রস থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন গ্যাবনিজ স্ট্রাইকার পিয়েরে এমেরিক আউবামেয়াং।
একমাত্র গোলটি করেন আউবামেয়াং
এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে বার্সেলোনা। তাদের বিবর্ণ উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আক্রমণের পসরা সাজায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। তবে অতিথি রক্ষণভাগের দেয়ালসম দৃঢ়তার কারণে গোলমুখ খোলা হয়নি স্বাগতিকদের। ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
মূলত ম্যাচের পরের অংশে নিজেদের এই রক্ষণাত্মক ফুটবল পছন্দ হয়নি জাভির। ছেলেদের আরও উন্নতি করার পরামর্শ দিয়েছেন। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাভি বলেন, ‘তিন পয়েন্ট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। জয়টা খুব দরকার ছিল। তবে ছেলেদের খেলা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। বিরতির পর অনেক ভুগতে হয়েছে। আমাদের আরও উন্নতির জায়গা আছে।’