পেলোসির ফ্লাইটকে অনুসরণ করছে ৩ লাখ ট্র্যাকার!

মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন গণমাধ্যমে। আজ মঙ্গলবার ‘এসপিএআর১৯’ ফ্লাইটে তিনি তাইওয়ান সফর করছেন। তার ফ্লাইটটি অনুসরণ করছে ৩ লাখ ২০ হাজার ফ্লাইট ট্র্যাকার। ফ্লাইটরাডার২৪ ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে।

ন্যান্সি পেলোসি

এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ট্র্যাক করা বিমান এটি। ইউএস এয়ার ফোর্সের জেটটি মঙ্গলবার (২ আগস্ট) কুয়ালালামপুর থেকে উড্ডয়ন করেছে। দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

ফ্লাইটরাডার২৪ এর মতে, প্রায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ব্যবহারকারী ‘এসপিএআর১৯’ এর প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছেন। ফ্লাইটটি মার্কিন বিমানবাহিনী পরিচালিত বোয়িং সি-৪০সি। তাইওয়ানের লিবার্টি টাইমস সংবাদপত্র আগে জানিয়েছিল, মিসেস পেলোসি স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে তাইপেইয়ের সোংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দরটিতে একটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।

তবে মিসেস পেলোসি ঠিক ওই বিমানে আছেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাইওয়ানে তার সম্ভাব্য সফর বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে। চীন দ্বীপটিকে নিজ প্রদেশ হিসেবে দেখে এবং পেলোসির সফর বাস্তবায়ন হলে পরিণতি ভালো হবে না বলে চীন হুমকি দিয়ে রেখেছে।

ফ্লাইটরাডার২৪ একটি জনপ্রিয় এয়ারক্রাফ্ট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট। সাধারণত কয়েক হাজার ব্যবহারকারী প্রতিদিন আগ্রহের বিমান অনুসরণ করে থাকে। বিশেষ করে যেসব ফ্লাইট জরুরি এবং উদ্বোধনী ফ্লাইটগুলো অনুসরণ করা হয়।

‘এসপিএআর১৯’ ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুরের সুবাং বিমানবন্দর থেকে আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। কিন্তু ফ্লাইটটি তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বের পরিবর্তে বোর্নিও দ্বীপের দিকে চলে যায়। ফ্লাইটরাডার২৪ এর তথ্যমতে, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সর্বাধিক ট্র্যাক করা ফ্লাইট তাইওয়ানে যাচ্ছিল।

মঙ্গলবার ‘এসপিএআর১৯’ এর পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক ট্র্যাক করা বিমানটি ছিল জাকার্তা থেকে তাইপেই যাওয়ার একটি চায়না এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। ফ্লাইটটির অনুসরণকারী ছিল প্রায় ২০ হাজার। ফ্লাইট ট্র্যাকিং কোম্পানির একজন প্রতিনিধি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। চীনের উদ্বেগ, পেলোসির সফর ঘিরে তাই্ওয়ানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া চীন তাই্ওয়ানকে নিজ প্রদেশ মনে করে। সেক্ষেত্রে আলাদা করে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা কোনো দেশের শীর্ষ কর্মকর্তার সফর তাদের জন্য অপমানজনক।