রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: শক্তি সঞ্চয় করছে ইউরোপ

যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে, হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু তাতে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। তার জেরও টানতে হচ্ছে। রাশিয়া কোনো কোনো দেশে তেল-গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, কোনো কোনো দেশে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় বিভিন্নভাবে বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহারে কৃচ্ছতা সাধন করছে ইউরোপের দেশগুলো। খবর আনাদোলু।

রাশিয়ার গ্যাসলাইন

ইউরোপের দেশগুলোতে এখনই জ্বালানিতে টান পড়ছে। শীতকালে স্বভাবতই দেশগুলোতে বিদ্যুতে চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই তারা এখন থেকেই বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স, জার্মানির মতো ইউরোপের বহু দেশ।

জার্মানি এরইমধ্যে দেশের সব সরকারি ভবনের আলো নিভিয়ে রাখতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ ধরে তারা এ কাজ করছে। আবার শহরের অবসর যাপনের স্থানগুলোকে ঠাণ্ডার সময় গরম রাখার প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। এভাবে আগামী মার্চের মধ্যে তারা ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয়ের টার্গেট নিয়েছে।

জার্মানিতে সরকারি ভবনগুলোর বাতি নিয়ে রাখা হচ্ছে

একই পথে হাঁটছে স্পেন, ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্সসহ আরো কিছু দেশ। ফ্রান্সে এসি দোকান বা ভবনগুলোর গেট খুলে রাখার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুতের অপচয় রোধের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা। আবার খানিকটা বিদ্যুৎ বাঁচাতে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ টাই না পরার। তিনি নিজেও টাই বর্জন করেছেন।

ইতালিতে সরকারি ভবনগুলোর বাথরুমগুলোতে গরম পানির সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রিসের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসির তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়ানো যাবে না।

এসব পদক্ষেপে কিছু কিছু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শীতে ইউরোপে বিদ্যুৎ-গ্যাসের যে চাহিদা তৈরি হয়, এভাবে সঞ্চয় করে তার কেবল ক্ষুদ্র অংশই যোগান দেওয়া যাবে। আর পুরো বিষয়টি রাশিয়ারও অজানা নয়। ফলে ইউরোপকে চাপে ফেলার এ সুযোগ কতটা ব্যবহার করেন পুতিন, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।