জেলেনস্কি: অ্যামনেস্টির রিপোর্ট সহ্য করার মতো নয়

সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রতিবেদনটিতে অভিযোগ করা হয়, রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের সৈন্যরা বেসামরিক নাগরিকদের বিপদে ফেলেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। জেলেনস্কি পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, এ রিপোর্ট সহ্য করা যায় না। খবর আনাদোলু।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেন, বিনা উস্কানিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রকাশ্য সন্ত্রাসবাদী একটি কর্মকাণ্ড। এমন ন্যূনতম কোনো নিয়ম নেই, যার ভিত্তিতে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলাটি ন্যায়সঙ্গত হয়।

এ অবস্থায় যদি এমন কোনো প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, যাতে হামলার শিকার সম্পর্কে বিভিন্ন ত্রুটি বের করা হয় এবং হামলাকারীর কর্মকাণ্ডের বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে বিষয়টি সহ্য করা যায় না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামিনেস্টি দাবি করে, তারা এমন ১৯টি শহরের ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী আবাসিক এলাকায় ঘাঁটি স্থাপন করে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির মুখে ফেলেছে। চার মাসের তদন্তে দেখা গেছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করে স্কুল ও হাসপাতালে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে এবং জনবহুল স্থান থেকে রাশিয়ার প্রতি হামলা শুরু করেছে।

তবে এটাও উল্লেখ করেছে, ইউক্রেনের এসব কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই রাশিয়ার এই নির্বিচার আক্রমণকে বৈধতা বা ন্যায্যতা দেয় না। রাশিয়ার হামলায় অগণিত বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেন, যদি কেউ রাশিয়াকে ক্ষমা করে দেয় এবং কিছু তথ্য একত্রিত করে এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করে, যাতে হামলার শিকার লোকজন দায়ী বলে মনে হয়, তাহলে এটি কিন্তু শেষপর্যন্ত সন্ত্রাসীদেরই সাহায্য করে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে পাঁচ হাজার ২৩৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং সাত হাজার ৩৫ জন আহত হয়েছে। প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ প্রতিবেশী দেশেও পালিয়ে গেছে।