চীন: জিনজিয়াং সফরে সন্তুষ্ট মুসলিম রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকরা

৩০টি ইসলামী দেশের ৩২ জন রাষ্ট্রদূত ও সিনিয়র কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল জিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চার দিনব্যাপী সফরের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং গতকাল শুক্রবার এ দাবি করেন। খবর দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস।

উইঘুর মুসলমান

জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পার্টি কমিটির সেক্রেটারি মা জিংরুই প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এরপর বেইজিংয়ে আন্তর্জাতিক প্রেস সেন্টারে (আইপিসি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, চারদিনের এ সফরে প্রতিনিধিদল কাশগর, আকসু ও উরুমকি সফরে গিয়ে সেখানকার মসজিদ, ইসলামিক স্কুল, জাদুঘর, পুরানো শহরের সংস্কার, তৃণমূল সম্প্রদায়, প্রযুক্তি উদ্যোগ, সবুজ উন্নয়ন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তারা স্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্নাতকদের সাথেও কথা বলেন।

জিনজিয়াংয়ে প্রতিনিধি দলটি স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং জিনজিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা, জাতিগত ঐক্য ও সম্প্রীতি, স্থিতিশীল পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অবগতি লাভ করে। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে মা জিংরুই আরো বলেন, চীন সরকার জনগণকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলে এবং জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ প্রশাসন পরিচালনা ও উন্নয়নে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। সব জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা এখানে সম্প্রীতি ও সুখে-শান্তিতে বাস করে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে।

বেইজিংয়ে উইঘুর বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি দল জানায়, জিনজিয়াংয়ে তারা যা দেখেছেন-শুনেছেন, তা পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর প্রচার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, জিনজিয়াং সম্পর্কিত ইস্যুতে ইসলামিক দেশগুলো সবসময়ই ন্যায়সঙ্গত অবস্থান ধরে রেখেছে। জিনজিয়াং সফরের মাধ্যমে ইসলামিক দেশগুলো আবারো একটি বস্তুনিষ্ঠ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে এবং প্রমাণ করেছে, জিনজিয়াংয়ের ব্যাপারে পশ্চিমাদের অভিযোগ মূলত গুজব ও মিথ্যা।

দীর্ঘদিন ধরে জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু চীন সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, উইঘুরদের কোনো নির্যাতন করা হচ্ছে না বরং তাদেরকে বিভিন্ন কর্মশিবিরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।