মালি: ২৬ হাজার বিদ্রোহী ঠাঁই পাচ্ছে সেনাবাহিনীতে

সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে মালির সামরিক সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে ২৬ হাজার সাবেক বিদ্রোহী যোদ্ধাকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে সেনাবাহিনী ঐক্যমতে আসায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে করা আলজিয়ার্স শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মালির সেনাবাহিনী

গতকাল শুক্রবার সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে বামাকোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ২৬ হাজার যোদ্ধার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চোগুয়েল কোকাল্লা মাইগা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এবং আলজেরিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সেনাবাহিনীর দুটি শাখায় ১৩ হাজার করে যোদ্ধা যুক্ত হবে। তবে কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তেবোউন মালির জান্তা সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্রোহীদের নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আলজিয়ার্স শান্তি চুক্তি

মালিয়ান সরকার এবং দেশটির উত্তরের তুয়ারেগ বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে ২০১৫ সালে আলজিয়ার্স শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সিভিল সার্ভিসে বিদ্রোহীদের একীভূতকরণ অথবা বেসামরিক জীবনে বিদ্রোহীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা আছে।

চুক্তিতে বলা আছে, সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহী যোদ্ধারা যুক্ত হতে পারলে বাহিনীটি আরও শক্তিশালী হবে। পরিকল্পনা রয়েছে, সম সংখ্যক ঐতিহ্যবাহী সৈন্য, সাবেক বিদ্রোহী যোদ্ধা এবং সরকার সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে মিশ্র ব্যাটালিয়ন গঠন এবং তাদের মোতায়েন করা।

আলজিয়ার্স চুক্তির বাস্তবায়নে মালিতে শান্তি ফিরে আসতে পারে, সংশ্লিষ্টরা এমনটাই মনে করেছেন। ২০২০ সালের আগস্ট ও ২০২১ সালের মে মাসে দুটি সামরিক অভ্যুত্থানের দরুন মালির জান্তা সরকার প্রতিবেশীদের চাপের মুখে রয়েছে। এরমধ্যে গত জুলাইয়ে সেনা সরকার নতুন নির্বাচনী আইনে স্বাক্ষর করেছে।