জেরুজালেমে দূতাবাস: পিছু হটছে হন্ডুরাস!

জেরুজালেমে স্থানান্তরের একবছর পর ইসরায়েলে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় তেল আবিবে ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে হন্ডুরাস। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্ট।

হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো

ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ ২০২১ সালে ইসরায়েলে অবস্থিত হন্ডুরাসের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেছিলেন। মাদক পাচারের অভিযোগে হার্নান্দেজকে এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়। এরপর তার উত্তরসূরি বামপন্থী জিওমারা কাস্ত্রো দায়িত্ব নেন।

এক বিবৃতিতে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনরিক রেইনা বলেন, তেল আবিবে দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্টের (কাস্ত্রো) সাথে আলোচনা করা হয়েছে এবং বিষয়টি আগে থেকেই তার নজরে রয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি অন্যান্য আরব দেশের সাথেও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান তিনি।

গত বছর জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে আনে হন্ডুরাস

বিবৃতিতে রেইনা আরও বলেন, জাতিসংঘের দাবিকৃত আন্তর্জাতিক আইনের মানদণ্ডের প্রতি সম্মান ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই হন্ডুরাস তেল আবিবে দূতাবাস ফিরিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।

গত রোববার বোগোটায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকির সাথে বৈঠকে রেইনা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তারা।

কয়েক দশকের নীতির বিপরীতে গিয়ে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তর করেছিলেন। তাদের দেখাদেখি কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে আসে। এই দেশগুলো হচ্ছে হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও কসোভো। আর সব দেশের দূতাবাসের অবস্থান আগের মতো তেলআবিবেই ছিল।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে জেরুজালেমের পূর্ব অংশ দখল করার পর ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকে তার রাজধানী হিসাবে বিবেচনা করে। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ পূর্ব জেরুজালেমকে অধিকৃত অঞ্চল হিসেবেই গণ্য করে থাকে।