আপনি পড়ছেন

তাইওয়ান ইস্যুতে আগের চেয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে চীন। প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগ করে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণের পাশাপাশি ওই দ্বীপে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। তাইওয়ান ইস্যুতে চীন সরকারের নতুন শ্বেতপত্রে এসব পরিকল্পনা উঠে এসেছে। তাইওয়ান এ শ্বেতপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে।

china taiwan exercise twsd চীন গতকাল তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়ার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে

চীনা মন্ত্রিসভা বা স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর গতকাল স্বশাসিত দ্বীপটি নিয়ে একটি নতুন শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। ‘তাইওয়ান কোয়েশ্চেন অ্যান্ড চায়না’স রিইউনিফিকেশন ইন দ্য নিউ এরা’ শীর্ষক এ শ্বেতপত্রে নতুন যুগ অর্থাৎ শি জিনপিংয়ের আমলে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান, পরিকল্পনা ও চিন্তাধারা উঠে এসেছে।

এর আগে ১৯৯৩ সালে ও পরবর্তীতে ২০০০ সালে তাইওয়ান বিষয়ক দুটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে চীন। সদ্যপ্রকাশিত দলিলটিতে আগের দুটি শ্বেতপত্রের তুলনায় চীনের আরও কট্টর ও রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।

নতুন শ্বেতপত্রের প্রস্তাবনার শুরুতেই বলা হয়েছে, তাইওয়ান চীনের একটি অংশ এবং এটা তর্কাতীত সত্য। তাইওয়ান প্রশ্নের মিমাংসা এবং চীনের সম্পূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ চীনা জাতির সব পুত্র ও কণ্যা সন্তানের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা। চীনের পুনর্জাগরণের জন্য তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অপরিহার্য এবং এটা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ঐতিহাসিক মিশন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাইওয়ানের উপর চীনের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে নতুন শ্বেতপত্রে তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাড়ের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। ‘তাইওয়ানে জাপানের ৫০ বছরের দখলদারিত্ব চীনা জাতির গ্লানি’ এবং ‘এখনও পর্যন্ত তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ না হওয়া চীনা জাতির জন্য ঐতিহাসিক ক্ষত’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

তাইওয়ানে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে’ বলে শ্বেতপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে। বাইরের কিছু শক্তি চীনা জাতির পূর্ণ একত্রীকরণ ও পুনর্জাগরণ ঠেকাতে তাইওয়ানকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, চীন সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগে দ্বিধা করবে না। এর আগে ১৯৯৩ ও ২০০০ সালের শ্বেতপত্রে পুনরেকত্রীকরণের পর তাইওয়ানের নিজস্ব প্রশাসন, আইনসভা, বিচারব্যবস্থা থাকবে এবং চীন সেখানে কোনো সৈন্য বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা পাঠাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। নতুন শে^তপত্রে সে ধরনের কোনো আশ্বাসের কথা নেই।

নতুন শ্বেতপত্রে তাইওয়ানের সামাজিক ব্যবস্থা, জীবনধারা, সম্পদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবস্থা, তাইওয়ানি জনগণের আইনগত অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে বলা হলেও শেষে চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ সংরক্ষণের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাইওয়ানে অবস্থানরত যেসব দেশবাসী চীনের পুনরেকত্রীকরণকে সমর্থন করবে, তারাই সেখানে প্রভুত্ব করবে।

তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ চীনের এ নতুন শ্বেতপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাইওয়ান কোনপথে যাবে সেটা তাইওয়ানের জনগণই নির্ধারণ করবে।

পৃথক খবরে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, আজ বৃহস্পতিবার চীনা সামরিক বাহিনী পিএলএর ২১টি উড়োজাহাজ ও ছয়টি সামরিক নৌযানকে তাইওয়ানের আশেপাশে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল পিএলএ তাইওয়ানের চারপাশে তাদের সামরিক মহড়ার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন তাইওয়ান প্রণালীতে স্বাধীন নৌ চলাচলের স্বার্থ সুরক্ষায় সেখানে কিছুদিনের মধ্যে মার্কিন সামরিক নৌযান চলাচল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.