জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের সব মসজিদে মাইকে আজান প্রচার নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। এমনকি মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদেও আযান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান।
বাইতুল মোকাদ্দাসের ধর্মীয় ঐতিহ্য মুছে ফেলার এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে তেহরান।
বুধবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিগত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ইহুদিরা ফিলিস্তিনি জনগনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ও নিপীড়নমূলক যেসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতা হচ্ছে আজান নিষিদ্ধের ঘটনা।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে ইসরাইল। মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা বাইতুল মোকাদ্দাসের ঐতিহাসিক ইসলামি পরিচয় মুছে ফেলাই হচ্ছে ইসরাইলের মূল লক্ষ্য। এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি আন্তর্জাতিক সমাজ এবং মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
শব্দ দূষণের অভিযোগ এনে বুধবার দেশটির মন্ত্রিসভা বাইতুল মোকাদ্দাসের মসজিদগুলো থেকে মাইকে আজান প্রচার নিষিদ্ধ করে একটি প্রস্তাব পাস করে। এই প্রস্তাব ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং নেসেটে অনুমোদনের পর এটি আইনে পরিণত হবে। আইনে পরিণত হলে ফিলিস্তিনের মসজিদগুলো থেকে আর মাইকে আযান দেয়া যাবে না।