শুধু একটি জাতির নন, সারা বিশ্বের আদর্শ

‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সভায় আলজেরিয়ায় কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দেখা হয়। প্রথম দেখায় একজন মহান নেতা আর এক নেতার অসীমতাকে চিনে নেয় এভাবেই।

ফিদের কাস্ত্রো শুধু কিউবার নেতা নন, বিশ্বের অনেক দেশে বহু মানুষের আদর্শ তিনি। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সম্পর্কে এই একটি উক্তি তাকে এদেশের মানুষের কাছে অমর করে রেখেছে। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন।

কিউবার সাম্যবাদের নায়ক ফিদেল কাস্ত্রো শনিবার ৯০ বছর বয়সে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। গত বছর কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে ফিদেল কাস্ত্রো নতুন প্রজন্মের কাছে একরকম আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন, 'আর কিছুদিন পরেই আমার বয়স ৯০ হবে, আমি হয়তো আর বেশি সময় বাঁচবো না। কিন্তু বিপ্লব নিয়ে আমাদের পরিকল্পনাগুলো মুছে যাবে না।'

'সবার জীবনেই শেষ সময় আসে। কিন্তু কিউবার কমিউনিস্ট দল বিশ্বাস করে, পৃথিবী থেকে যাবে। বিশ্ববাসী জানবে, সততার সাথে কাজ করলে মানবসভ্যতার জন্য কল্যাণকর সংস্কৃতি তৈরি করা সম্ভব। আর এসবের জন্য আমাদের আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।'

কিউবার বিপ্লবী নেতা, সাম্যবাদের জনক ফিদেল কাস্ত্রোর পুরো নাম ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ। তিনি ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে মার্কিন সমর্থিত একনায়ক ফুলগেন্সিও বাতিস্তার সরকারকে উৎখাত করে একই বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।

পৃথিবীর ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিদেল কাস্ত্রো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, ইন্দ্রিরা গান্ধী, ইয়াসির আরাফাতসহ বেশ কিছু অবিসংবাদিত নেতার জন্ম হয়েছিল। তাদের আদর্শ, পরিকল্পনা এবং দেশাত্মবোধ মানুষের শেকড় নাড়িয়ে উজ্জীবিত করতো। তাই তারা শুধু একটি জাতির, এক রাষ্ট্রের নেতা নন, সারা বিশ্বের আদর্শ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো আর নেই

পুনরায় ভোট গণনা হবে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে

ইসরালের আগুন নেভাতে তুরস্কের বিশেষ বিমান

পাকিস্তানকে পানি না দেয়ার হুমকি দিলেন মোদি

শরণার্থী দিয়ে ইউরোপকে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি তুরস্কের