মিসরের রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করলে বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সিআইএ। এ ব্যাপারে সংস্থাটি একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো সম্প্রতি জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে এটিকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ওই প্রতিবেদনে সিআইএ বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হলে মিশরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি অস্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি পুরো মুসলিম দুনিয়ায় অস্থিরতা ছড়িয়ে যেতে পারে। এই অস্থিরতা থেকে জঙ্গীবাদের বিস্তৃতি ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যে ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই আলোচনায় প্রাক্তন ও বর্তমান মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। আলোচনায় সবার সামনে মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে খুব বিস্তারিত জানাতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। সিআইএ বা হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখ্য উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, সিআইএ প্রণীত এমন একটি প্রতিবেদন তাদের হাতে এসেছে যেটিতে ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের সম্ভাব্য অবস্থা বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন হাসানুল বান্না। প্রতিষ্ঠা লগ্নে এটির নাম ছিলো ‘ইখওয়ানুল মুসলিমিন’। মিশরের রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ধরে নিষিদ্ধ থাকা এই সংগঠনটি বহু চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মৃত্যুর পর মাত্র সেদিন রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
এরপর ২০১২ সালে মিশরের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে মুসলিম ব্রাদারহুড। কিন্তু এক বছর পরই ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে আবার দেশটিতে সামরিক শাসন শুরু করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।