আপনি পড়ছেন

টাইটানিক পতনকে বলা হয় অন্যতম প্রধান সামুদ্রিক ট্র্যাজেডি। সবচেয়ে বিলাশবহুল জাহাজ শুধু নয়, নির্মাণের পর বলা হচ্ছিল টাইটানিক সমুদ্রের বিস্ময়, ভাসমান প্রাসাদ। ঘোষণা করা হয়েছিল , কখোনই ডুববে না। কিন্তু ১৯১২ সালের এপ্রিলে আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে বিপন্ন হয়ে যায় টাইটানিক প্রাসাদ। প্রযুক্তির উৎকর্ষ এবং অহংকার হেরে যায় সাগরের অনন্ত রহস্যে। তলিয়ে যায় টাইটানিক। এই পতনে এক হাজার ৫১৭ জন যাত্রী ও ক্রু ধুকে ধুকে মারা গেছেন শীতার্ত আটলান্টিকের জলে। সেখান থেকেই টাইটানিক একটা বড় ইতিহাস।

titanic 1

বিশ্বের সবচেয়ে বিলাবসহুল জাহাজটি নিয়ে কত গবেষণা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। সিনেমা তৈরি হয়েছে, সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে হয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু টাইটানিক নামের গৌরব হয়তো আর বেশি দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

অনেক আগে থেকেই সামুদ্রিক ব্যাকটেরিয়া বাঁধা বেধেছে ধ্বংস হওয়া টাইটানিকে। বর্তমানে নাকি সেটা ভয়াবহ অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। গবেষকদের মতে, এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে ২০ বছরের মধ্যেই নিশ্চিহৃ হয়ে যেতে পারে টাইটানিকের অস্তিত্ব। ২০১০ সালে প্রথমে টাইটানিকে ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব খুঁজে পান ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাকটেরিয়া কুরে কুরে খাচ্ছে।

titanic 2

ধ্বংস হওয়া টাইটানিক দ্বিখ-িত হয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৬ ফুট নিচে আটলান্টিকের তলদেশে অবস্থান করছে। দ্বিখ-িত হওয়া জাহাজের একটা খ- অন্যটি থেকে ১৯৭০ ফুট দূরে স্থির হয়ে আছে।
গবেষকদের কথা মতে ব্যাকটেরিয়া টাইটানিককে যদি ধ্বংস করেই দেয় টাইটানিক নামের ইতিহাস, অহংকার, গৌরব কিন্তু ভুলে যাওয়ার নয়। টাইটানিকের ধারণ ক্ষমতা ছিল মালামালসহ তিন হাজার ৩৩৯ জনকে বহন করার মতো। কিন্তু প্রথম যাত্রা যখন করেছিল জাহাজে যাত্রী ছিলেন এক হাজার ৩১৭ জন। আর ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথের নেতৃত্বে ক্রু ছিলেন ৮৮৫ জন।

titanic
টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় যারা উঠতে পেরেছিলে সবাই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছিল। জাহাজটি ছাড়ার সময়েই লাখ খানেক দর্শক জড়ো হয়েছিল সেটা দেখার জন্য। বুঝুন এবার।

আগেই যেহেতু ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে টাইটানিক ডুববে না। ফলে লাইফবোটও রাখা হয়েছিল না। বিদ্যামান আইন অনুযায়ী মাত্র ২৪টি বোট রাখা হয়েছিল টাইটানিকে। কিন্তু যাত্রা শুরুর তিন দিনদিনের মাথাতেই আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে সাগরে তলিয়ে যায় পানির বুকে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বৃহৎ, বিলাসবহুল জাহাজটি।

titanic 4

টাইটানিক সম্পর্কে কিছু তথ্য

টাইটানিকের দৈর্ঘ্য ছিল ৮৮২ ফুট ছয় ইঞ্চি। তিনটি ফুটবল মাঠের সমান।

তলা থেকে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত ১৭৫ মিটার উঁচূ ছিল টাইটানিক। মোট নয়টি ডেক বা নয়তলা বলা হয়।

প্রতিদিন ৮০০ টন কয়লা পোড়াতো টাইটানিকের ইঞ্জিন। ঘন্টায় ২৭ মাইল গতিবেগে ছুটতে পাড়ত জাহাজটি।

টাইটানিকে উষ্ণজলের একটি সুইমিংপুল, একটি জিমনেশিয়াম, দুটি লাইব্রেরি, চুল কাটার সেলুন ছিল।

টাইটানিক নির্মাণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেছিলেন দুই বছর। জাহাজ নির্মাণ কালেই মারা গিয়েছিলেন ৩ শ্রমিক।

টাইটানিক নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.