আফগানিস্তানের সেনা প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ

দুদিন আগে তালেবানের হামলায় ১৩০ সেনা নিহতের ঘটনায় আফগানিস্তানের সেনা প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বলা হচ্ছে, তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে সরকারের উচ্চমহল।

এ দিকে, যেদিন আফগানিস্তানে সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের খবর বের হলো, তার একদিন আগে আফগানিস্তানে অঘোষিত সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখেই পদত্যাগ করেছেন তারা।

এই হামলাটি আফগানিস্তানের সেনাদের উপর তালেবানদের সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এ হামলায় ছোট বড় বোম্বিং এবং আত্মঘাতমূলক আক্রমণ ছিলো। তালেবানরা সেনাদের উইনিফর্ম পরে আফগানিস্তানের জাতীয় সেনা একাডেমিতে প্রবেশ করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ঘটনার পরপরই তালেবানরা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে নেয়।

জানা গেছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এরই মধ্যে সেনাপ্রধান কাদাম শাহ শাহিম এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল্লাহ হাবিবির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন আজ। ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে থাকা সেনাদের করণীয় নির্ধারণ করতেই তিনি অঘোষিত সফরটিতে এসেছেন।

জেনারেল দৌলত ওয়াজিরি. আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের জন্য সময়টা কঠিন। এতোগুলো সেনার মৃত্যু অনেকের উপর প্রভাব ফেলেছে। তবে সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ আমাদের নৈতিকতাকে প্রভাবিত করবে না।’

সেনাদের উপর হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেনো, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে দাবি করেন তিনি।

এ দিকে, সেনাদের উপর হামলা এবং তাদের মৃত্যুর জন্য সরকারের কৈফিয়ত দাবি করে কাবুলে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আফগান নাগরিকরা। উঁচু পর্যায়ের নিরাপত্তা সতর্কতা থাকায় খুব বেশি মানুষ অবশ্য এই বিক্ষোভে শামিল হতে পারেননি।