ভয়াল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মেক্সিকো, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে। মঙ্গলবার রাজধানী মেক্সিকো সিটির নিকটবর্তী পুয়েবলা স্টেটে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের আঘাতে মূহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মেক্সিকো।
১৯৮৫ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানির ৩২ বছর পূর্তির দিনে মেক্সিকো সিটিতে মহড়া চলাকালে এই ভূমিকম্প হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশটিতে ৮ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৯০ জনের মৃত্যু ঘটে।
রাজধানী মেক্সিকো সিটিসহ অন্তত পাঁচটি রাজ্যে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং কমপক্ষে ২৯টি ভবন ধ্বসে গেছে। ধসে পড়া ভবনের নিচে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও দেশটির উদ্ধারকারী বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে আহতের সঠিক কোন হিসেব জানা যায়নি।
ড্যানিয়েল লিবারসন নামের এক পর্যটক বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় আমি একটি হোটেলের ২৬ তলায় ছিলাম। পুরো ভবন তখন এপাশ-ওপাশ দুলছিল। ভেঙে পড়ছিল জানালার কাচ। মাত্র আধা মিনিটের ভূমিকম্প ছিল এটি। অথচ আমার কাছে তখন মনে হচ্ছিল যেন সারা জীবন ধরে চলছে।’
ভূমিকম্পের পরপরই বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভবন ধ্বসের ফলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমানবন্দর। মেট্টোরেলের যোগাযোগও বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বসে গেছে। ইট, রড আর ভবনের ধ্বংস স্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে মানুষ। বড় বড় ভবন ধ্বসে যেয়ে রাস্তার গাড়ির উপর এসে গাড়িগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫১ কিলোমিটার গভীরে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইনরিক পেনা নিয়েতো জানিয়েছেন, ধসে পড়া একটি স্কুলভবনের নিচে ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আরো ৩০ জনের মত নিখোঁজ রয়েছেন।