রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান নিপীড়নের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী শ্রমিকরা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুবাইয়ে কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খাবার, ওষুধ, কাপড় এবং শোবার জায়গা নিশ্চিত করছে। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণসামগ্রী দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

এই ত্রাণ সামগ্রী চট্টগ্রামের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জানা গেছে, এসব ত্রাণের মধ্যে রয়েছে ২৪ হাজার ছয়শ ৭০টি ত্রিপল, অস্থায়ী তাঁবু এবং শোবার জন্য বিছানা যা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করা এক লাখ ২৩ হাজার তিনশ ৫০ জন রোহিঙ্গা মুসলমানকে খানিকটা স্বস্তি দেবে। এছাড়া দুবাইয়ে কর্মরত প্রবাসীরা রোহিঙ্গাদের জন্য তিন লাখ ২৫ হাজার ছয়শ ৪৪ ডলার নগদ অর্থও পাঠিয়েছেন।

কিছু ত্রাণ আকাশপথে আর কিছু সমুদ্রপথে আসছে। আকাশপথে ত্রাণ পৌঁছাতে মাত্র পাঁচ ঘন্টা সময় লাগলেও সমুদ্রপথে চার সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের হাই কমিশনারের সিনিয়র গ্লোবাল সাপ্লাই কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইয়াকুব রোববার দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মানবতা এখনও বেঁচে আছে, মানুষ এখনও বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা রাখে, এই অভিমত ব্যক্ত করে মুহাম্মদ ইয়াকুব জানান, শ্রমিকরাও রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে। তাদের পারিশ্রমিক নিজেদের এবং পরিবারের জন্য যথেষ্ট না হলেও তারা সাহায্য করতে চাইছে। কিন্তু সহযোগিতা করাটা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর বলেও মন্তব্য করেছেন।