‘এবারও ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ করতে চেয়েছিল, আমি না করে দিয়েছি’

গতবছর থেকেই ‘ম্যান অব দ্যা ইয়ার’ (বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব) নিয়ে আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন, গতবারের মতো এবারও নাকি টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ ঘোষনা করতে চেয়েছে। কিন্তু তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘টাইমস ম্যাগাজিন আমাকে জানিয়েছে, গতবারের মত এবারও ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ আমিই হচ্ছি। এজন্য তারা আমাকে সাক্ষাৎকার ও ফটোশুটে অংশ নিতে বলেছিল। কিন্তু আমি ওদের মানা করে দিয়েছি।’

সবচেয়ে মজার বিষয়টি হচ্ছে, টাইমস ম্যাগাজিন বছর শেষে প্রতিবার যে ঘোষণাটি দেয় সেটি ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’, ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ নয়। কিন্তু ট্রাম্প এটা কিছুতেই মানতে রাজি নন। ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, পার্সন শব্দটা ভুল এবং তাদের এটি সংশোধন করে ম্যান করা উচিত। এই বিষয়ে তিনি গতবছর আইওয়াতে এক সমাবেশে বলেন, ‘পারসন নয়, টাইমস কর্তৃপক্ষের উচিত এটিকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ হিসেবেই সম্বোধন করা।’

টাইমস ১৯২৮ সালে প্রথমবারের মত ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ঘোষণা করেছিল। তারপর প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলে তারা ‘উইমেন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষনা করে। কিন্তু লিঙ্গ বিভাজন এড়াতে ১৯৯৯ সাল থেকে বছরের আলোচিত ব্যক্তিত্বকে টাইমস ম্যাগাজিন ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মানিত করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি দেশের সরকার প্রধানকে যে এইসব আজগুবি আচার আচরণ মোটেও শোভা পায় না, তা কিছুতেই ট্রাম্পের বোধগম্য হচ্ছে না। সম্প্রতি এশিয়া ট্যুরে এসে তিনি বিশ্বে এতগুলো দেশ আছে জেনে অবাক হয়েছেন। তার ভৌগলিক জ্ঞানের বহর এমনই।

গতবছর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে জয়লাভের পর টাইমস ম্যাগাজিন ট্রাম্পকে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এবারও তাকে বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব ঘোষণা করা হবে, ট্রাম্পের এই দাবি সঠিক কী না তা জানার উপায় নেই। কারণ টাইমস ম্যাগাজিনের ওই প্রক্রিয়াটিতে যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।